‘দেওয়াল নয়, সেতু গড়ুন’ পরামর্শ রাহুলের
কৃষকরা যাতে আন্দোলনে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার জন্য দিল্লি-হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সীমান্তে চার স্তরীয় নিরাপত্তার দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। রাস্তা জুড়ে কংক্রিটের ব্যারিকেডের পাশাপাশি তির-চারটি স্তরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখতে রাতারাতি কাঁটাজাল-ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয়েছে সিংঘু সীমান্ত। দূর থেকে দেখলে কোনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলে মনে হতেই পারে। আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লি প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের এই প্রচেষ্টাকেই কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, “ব্রিজ তৈরি করুন, দেওয়াল নয়”।
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের (tractor Rally) বিশৃঙ্খলার ঘটনার পরই সিংঘু, তিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে সীমান্ত খালি করে কৃষকদের বাড়ি ফেরার নির্দেশ দেওয়া হলেও পরে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইতের কান্নাভেজা আবেদনে কৃষকরা ফের সীমান্তে ফিরে আসেন এবং মহাপঞ্চায়েতের আলোচনায় ঠিক করা হয়, গাজিপুর সীমান্তে জারি রাখা হবে আন্দোলন।
এরপরই কৃষকরা যাতে আন্দোলনে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার জন্য দিল্লি-হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সীমান্তে চার স্তরীয় নিরাপত্তার দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়। রাস্তা জুড়ে কংক্রিটের ব্যারিকেডের পাশাপাশি তির-চারটি স্তরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়। তার পিছনেই আবার কংক্রিটের ব্যারিকেড ও রাস্তায় সিমেন্ট ঢালাই করে পেরেক পুঁতে দেওয়া হয়। মোট তিন ফুট চওড়া ও পাঁচ ফুট লম্বা ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে সিংঘু সহ তিন সীমান্তে।
GOI,
Build bridges, not walls! pic.twitter.com/C7gXKsUJAi
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 2, 2021
আরও পড়ুন: অধিবেশন শুরু হতেই উত্তাল রাজ্যসভা, ওয়াকআউট বিরোধীদের
ব্যারিকেডের পাশাপাশি আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর নজর রাখতে দিল্লি পুলিশ, র্যাফ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই কঠোর সুরক্ষাকবচ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় দিল্লি পুলিশ।
প্রশাসন ও পুলিশের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, “ভারত সরকার, ব্রিজ তৈরি করুন, দেওয়াল নয়”। এর আগেও গত সপ্তাহে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে দুষে তিনি বলেন, “কৃষকদের মারধোর, ভয় দেখানোর কাজ করছে কেন্দ্র। এই আইন শীঘ্রই পত্যাহার করা উচিত।” কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও সীমান্তে ব্যারিকেডের একটি ভিডিয়ো টুইট করে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীজী, নিজেদের কৃষকদের সঙ্গেই যুদ্ধ?”
प्रधानमंत्री जी, अपने किसानों से ही युद्ध? pic.twitter.com/gn2P90danm
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) February 2, 2021
কেন্দ্র ও কৃষক দুই পক্ষের তরফেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলা হলেও আগামী বৈঠকের কোনও দিনঘোষণা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। এরই মাঝে আগামী শনিবার দেশজুড়ে “চাক্কা জ্যাম”-র ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। গতকাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে একটি সংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়, “আন্দোলনস্থলে সাংবাদিকদের যে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেদিন দুপুর ১২টা থেকে তিনটে অবধি সমস্ত জাতীয় সড়ক ও রাস্তা অবরোধ করা হবে।”
আরও পড়ুন: পোলিও টিকার বদলে খাওয়ানো হল স্যানিটাইজার, হাসপাতালে ১২জন শিশু