POCSO : তিন বছরের শিশুকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণের’ দায়ে যাবজ্জীবন মালদার বৃদ্ধের, কী এই ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’?
POCSO: কী এই ডিজিটাল ধর্ষণ? এটা কি ভার্চুয়াল দুনিয়ার কোনও অপরাধ? নাকি গোটা বিষয়টাই আলাদা কিছু?
নয়া দিল্লি : সম্প্রতি ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের এক শিশুকে ডিজিটাল ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই বৃদ্ধ। চলতি সপ্তাহেই সুরজপুর আদালত এই রায় জানিয়েছে। জানা গিয়েছে দোষী সাব্যস্ত ওই বৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। ২০১৯ সালে নয়ডায় প্রতিবেশীর শিশুকে ডিজিটাল ধর্ষণের দায়ে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধকে।
কী এই ডিজিটাল ধর্ষণ?
ওই বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ শব্দটি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে? কী এই ডিজিটাল ধর্ষণ? এটা কি ভার্চুয়াল দুনিয়ার কোনও অপরাধ? নাকি গোটা বিষয়টাই আলাদা কিছু? ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ শুনলে প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে এটি হয়তো ভার্চুয়ালি করা কোনও অপরাধ বা কোনওরকম সাইবার অপরাধের জন্য জড়িত কোনও কিছু। কিন্তু আসলে এর সঙ্গে ভার্চুয়াল বা অনলাইনের অপরাধ দুনিয়ার কোনও যোগ নেই। ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ হল জোর করে কারও যৌনাঙ্গে হাতের আঙুল বা পায়ের আঙুল প্রবেশ করা।
‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ কথাটির আক্ষরিক ব্যাখ্যা
‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ শব্দটি এসেছি ইংরেজি থেকে। সেক্ষেত্রে ‘ডিজিট’ কথাটিকে বোঝায় পায়ের আঙুল, হাতের আঙুল বা বৃদ্ধাঙ্গুলি। তাই হাতের আঙুল বা পায়ের আঙুল কারও যৌনাঙ্গে বলপূর্বক প্রবেশ করা হলে, সেটিকে ডিজিটাল ধর্ষণ বলা হয়।
পকসো আইনের তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী, পুরুষাঙ্গ ছাড়া শরীরের অন্য কোনও অঙ্গ কোনও শিশুর যৌনাঙ্গে জোর করে প্রবেশ করানো বা কোনও শিশুকে ওই কাজ করতে জোর করা হলে, তা যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে। ২০১২ সাল থেকে এই ডিজিটাল ধর্ষণের বিষয়ে আইন এসেছে। তার আগে পর্যন্ত ডিজিটাল ধর্ষণের বিষয়ে কোনও কথা উল্লেখ ছিল না ভারতীয় দণ্ডবিধিতে। সেই সময়ে এটি ধর্ষণের বদলে শ্লীলতাহানির পর্যায়ে রাখা হত।
ডিজিটাল ধর্ষণের সাজা
পকসো আইন অনুযায়ী, এই অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বনিম্ন পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হয়। এক্ষেত্রে এটি যদি পকসো আইনের ৩৭৬ ধারার আওতায় পড়ে, তাহলে কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত করা হতে পারে।
জানা গিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত মালদার ওই ব্যক্তি নয়ডায় তার জামাইয়ের বাড়িতে থাকত। একদিন প্রতিবেশী ওই শিশু বাড়ির বাইরে খেলছিল। সেদিন বৃদ্ধের বাড়িতে কেউ ছিল না। আর সেই সুযোগে, টফির প্রলোভন দিয়ে শিশুকে বাড়িতে ডেকে এনে ওই কুকর্ম করে বৃদ্ধ।