শিশির-সুনীলকে দলত্যাগ বিরোধী আইনে নোটিস লোকসভার, চাপ বাড়ল মুকুলের!
Sisir Adhikari Sunil Mondal: দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় এই দুই সাংসদকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যা বস্তুত এ রাজ্যের দলত্যাগী বিধায়ক মুকুল রায়ের উপর পরোক্ষে চাপ বৃদ্ধি করবে।
কলকাতা: তৃণমূল ত্যাগী দুই লোকসভার সাংসদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলকে নোটিস দিল লোকসভা। বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনকয়েক আগেই কাঁথি ও পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদকে নোটিস দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় এই দুই সাংসদকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যা বস্তুত এ রাজ্যের দলত্যাগী বিধায়ক মুকুল রায়ের উপর পরোক্ষে চাপ বৃদ্ধি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই গত বছর মেদিনীপুরের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। অন্যদিকে, কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেননি ঠিকই, কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দুকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়ে শিশিরবাবু নিজেও বলেন যে তিনি তৃণমূলে নেই। ঘাসফুল ছেড়ে অন্য ফুল হাতে তুলে নিলেও এই দু’জনের মধ্যে কেউই নিজেদের সাংসদ পদ ত্যাগ করেননি। যে কারণে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের পাঠানো সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শিশির ও সুনীলকে নোটিস দিয়ে তাঁদের জবাব তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তৃণমূলের তোলা অভিযোগের তাঁদের জবাব দিতে বলেছে লোকসভার সচিবালয়।
যদিও লোকসভা সচিবালয়ের এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত সুকৌশলী রাজনৈতিক চাল হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কারণ, রাজ্য বিধানসভায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও একই ভাবে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। কাকতালীয়ভাবে, আগামিকালই যার শুনানি রয়েছে বিধানসভার স্পিকারের কক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিতর্ক আরও বড় আকার নিয়েছে কারণ বিজেপি বিধায়ক হিসেবে মুকুলের নাম পিএসি-র চেয়ারম্যানের জন্য প্রস্তাব করে তৃণমূল। এবং তাতে সায় দিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুলের নামই ঘোষণা করেন। যা নিয়ে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে বিজেপি।
এতদিন মুকুলের প্রসঙ্গ তোলা হলে পালটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলকে নিয়েই প্রশ্ন তোলা হত। কিন্তু আজকের পদক্ষেপের পর নৈতিকতার প্রশ্নে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একই সঙ্গে যেভাবে শিশির-সুনীলকে নোটিস দেওয়া হল, মুকুলের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপের দাবি তোলা শুরু হবে বিজেপির পক্ষ থেকে। আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে এবার আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় শুভেন্দুদের