হোটেলে চলছিল এইসব কাজ-কারবার, প্রতিবাদ করতেই সেনা কর্তার গাড়িতে ধরানো হল আগুন
Lucknow hotel Sealed: সেনা কর্তার বাড়ির কাছেই ছিল হোটেলটি। মঙ্গলবার হোটেলটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
লখনউ: সেনা কর্তার বাড়ির কাছেই ছিল হোটেলটি। প্রায়শই হোটেলে অনেক রাত পর্যন্ত প্রচণ্ড শব্দে গান-বাজনা হত। এরই বিরোধিতা করেছিলেন ওই সেনা কর্তা। এর জেরে কিছু সময় পরে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার, উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে অভিযুক্ত হোটেলটিতে তালা ঝুলিয়ে দিল প্রশাসন। লখনউ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বলেছে, “বেআইনি ভাবে চলছিল হোটেল মিলানো অ্যান্ড ক্যাফে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে এই প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল অভিযোগ রয়েছে ওই হোটেলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। সে এখনও পলাতক।
লখনউয়ের গোমতিনগরে থাকেন ভারতীয় সেনার মেজর অভিজিৎ সিং। তাঁর বাড়ির কাছেই অবস্থিত হোটেল মিলানো অ্যান্ড ক্যাফে। গত রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ওই হোটেলে উদ্দাম গান-বাজনা চলছিল। তিনি হোটেলের কর্মীদের ডেকে গান-বাজনা বন্ধ করতে বলেছিলেন। কিন্তু, হোটেল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। গান চলবেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল তারা। এই নিয়ে দুই পক্ষে বাদানুবাদ শুরু হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এরপর ওই সেনা কর্তা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে উচ্চগ্রামে সঙ্গীত বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে এখানেই ঘটনা শেষ হয়নি।
হোটেলের গান-বাজনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মেজর অভিজিৎ সিং। কিন্তু সোমবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। নাকে এসেছিল পোড়া গন্ধ। বাইরে বেরিয়ে দেখেছিলেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে, আগুন নেভাতে নেভাতে পুরো গাড়িটিই পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই হোটেলের মালিক জনৈকি রাহুল, হোটেলের ম্যানেজার শিবম সিং এবং অজ্ঞাত পরিচয় আটজনের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান ওই সেনা কর্তা। তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, হোটেলের ম্যানেজারের নেতৃত্বে ওই হোটেলের কর্মীরাই ওই সেনা কর্তার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল। ঘটনার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ম্যানেজারকে।