Girl fall in borewell: ৩০০ ফুট গভীরে ৩দিন ধরে আটকে খুদে সৃষ্টি, উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা, এসেছে রোবট বাহিনী
MP Girl: ৮ বছরের সৃষ্টি প্রথমে কুয়োর ২০ ফুট গভীরে পড়ে যায়। কিন্তু, মেশিনের মাধ্যমে দড়ি ফেলে উদ্ধারকাজ শুরু করতেই মাটি কাঁপতে শুরু করে। তারপর উদ্ধারকাজ যত এগোয়, ততই বালিকাটি গভীরে চলে যেতে থাকে।
সেহোর: মাঠে খেলতে গিয়েছিল। খেলতে-খেলতে মঙ্গলবার অসাবধানতাবশত কুয়োয় (borewell) পড়ে যায় আড়াই বছরের বালিকা। তারপর দেড়দিন পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, টানা ৪৬ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বালিকাটিকে উদ্ধার করা যায়নি। বরং যত সময় এগোচ্ছে, উদ্ধারকাজে তৎপরতা বাড়ছে। তবে, স্লিপ খেয়ে মেয়েটি কুয়োর আরও গভীরে চলে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ ফুট গভীরে চলে গিয়েছে। নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পুলিশ, দমকল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), এমনকি সেনাও (Army) নামানো হয়েছে। তারপরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার নামানো হয়েছে রোবট বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) সেহোর জেলায়। গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়োয় পড়ে যাওয়া নাবালিকার নাম সৃষ্টি কুশওয়াহা। সেহোর জেলার বাসিন্দা, আড়াই বছরের সৃষ্টি গত মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ খেলতে-খেলতে কুয়োয় পড়ে যায়। তারপর থেকে টানা উদ্ধারকাজ চলছে। বালিকাটিকে উদ্ধার করতে বৃহস্পতিবার সকালে গুজরাট থেকে ৩ সদস্যের রোবট বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই বছরের সৃষ্টি প্রথমে কুয়োর ২০ ফুট গভীরে পড়ে যায়। খবর পেয়েই উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ, দমকলবাহিনী ও উদ্ধারকারী দল। কিন্তু, মেশিনের মাধ্যমে দড়ি ফেলে উদ্ধারকাজ শুরু করতেই মাটি কাঁপতে শুরু করে। তখন বালিকাটি স্লিপ করে প্রথমে ৫০ ফুট, তারপর ১০০ ফুট গভীরে চলে যায়। তারপর উদ্ধারকাজ যত এগোয়, ততই বালিকাটি গভীরে চলে যেতে থাকে। বর্তমানে ৩০০ ফুট গভীরে রয়েছে বালিকাটি।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও সেহোরের বাসিন্দা। ফলে ওই জেলার বালিকার এ হেন অবস্থায় উদ্বিগ্ন তিনি। মেয়েটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ শিবরাজ সিং চৌহান। বালিকাটি ১০০ ফুট গভীরে চলে যেতেই উদ্ধারকাজে নামানো হয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারপর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সাহায্যও নেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত, ৪৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও বালিকাটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে কুয়োর ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে এবং এদিন সকালেই গুজরাট থেকে ৩ সদস্যের রোবট বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে। রোবট বাহিনীর ইন-চার্জ মহেশ আর্য বলেন, কুয়োর ভিতরে রোবট পাঠিয়ে শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিশুটি কী অবস্থায় রয়েছে জানার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।