Elephant Attack: এক হুলেই খেল খতম! বুনো হাতি তাড়াতে নিজের ‘সেনা’ বানাচ্ছেন কৃষকেরা

Elephant Attack: গত সপ্তাহে জারি করা একটি নির্দেশিকা বা সার্কুলারের রাজ্য সরকারের তরফে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে হাতি তাড়াতে কী করা উচিত, আর কী উচিত নয়, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

Elephant Attack: এক হুলেই খেল খতম! বুনো হাতি তাড়াতে নিজের 'সেনা' বানাচ্ছেন কৃষকেরা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2023 | 12:41 PM

ভোপাল: কখনও মহুয়া খেয়ে টলতে টলতে, আবার কখনও খাবারের খোঁজে , যখন তখন চাষের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে হাতিরা। হাতির পালের এই দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ চাষীরা। তাদের কষ্ট করে ফলানো ফসল খেয়ে চলে যাচ্ছে হাতি। কাকতাড়ুয়া লাগিয়ে, পটকা ফাটিয়ে, বাজনা বাজিয়েও হাতির দলের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফসলের ক্ষতি রুখতে এবং হাতি তাড়াতে এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে সরকার। মধ্য প্রদেশ সরকারের (Madhya Pradesh Government) তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফসলের জমিতে বুনো হাতি (Elephant) ঢোকা রুখতে মৌমাছিকে (Honey Bee) ব্যবহার করা হবে। শুনে আশ্চর্য লাগলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমনটা সম্ভব। খুদে মৌমাছিরাই তাড়াতে পারে হাতির পালকে।

মধ্য প্রদেশে সেভাবে হাতির উপদ্রব না থাকলেও, অনেক সময়ই প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তীসগঢ় থেকে সীমান্ত পার করে এ রাজ্যে ঢুকে পড়ে হাতির পাল। জঙ্গলে মহুয়া খেয়ে তারা তাণ্ডব চালায় ফসলের জমির উপরে। ক্ষেতে ফলে থাকা নতুন ফসল মাড়িয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে দেয় বুনো হাতির দল। তাদের তাড়াতে কৃষকেরা চিরাচরিত রীতি অনুসরণ করে, যেমন পটকা ফাটিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়ালেও, নিশ্চিত প্রতিকার মিলছে না কোনওভাবেই। এবার সেই সমস্যার সমাধানই খুঁজে বের করল মধ্য প্রদেশ সরকার।

গত সপ্তাহে জারি করা একটি নির্দেশিকা বা সার্কুলারের রাজ্য সরকারের তরফে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে হাতি তাড়াতে কী করা উচিত, আর কী উচিত নয়, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, চাষের জমিতে হাতির পালের প্রবেশ রুখতে মৌমাছি পালন করা উচিত। যদি এক বাক্স মৌমাছি রাখা যায়, তবে হাতি ক্ষেতে প্রবেশ করবে না। কারণ হাতি মৌমাছিকে ভয় করে, প্রায় সময়ই মৌমাছিরা হাতির শুঁড়ে, চোখে হুল ফুটিয়ে দেয়।

সিধি, সিঙ্গরাউলি, শাহদোল, অনুপ্পুর, উমারিয়া, দিন্দোরি ও মান্ডলার মতো  মধ্য প্রদেশ-ছত্তীসগঢ় সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে মৌমাছি প্রতিপালনের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এতে শুধুমাত্র ফসল ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিই যে রোখা যাবে, তা নয়, একইসঙ্গে সাধারণ মানুষদের প্রাণরক্ষাও হবে।

গত বছরই খাদি ও গ্রাম উন্নয়ন কমিশনের তরফে ‘হানি মিশন’-র অধীনে মোরেনা জেলায় ১০ জনকে ১০০টি করে মৌমাছির বাক্স বিতরণ করা হয়েছিল।