Minor Murder: প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল, রাগে নাবালিকাকে বিষ খাইয়ে মারল মামা, দাদা

Honour Killing: জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মা ২ বছর আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পর থেকে মামার বাড়িতেই থাকত সে। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাবালিকার।

Minor Murder: প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিল, রাগে নাবালিকাকে বিষ খাইয়ে মারল মামা, দাদা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:32 PM

ভোপাল: নাবালিকাকে জোর করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল মামা ও মামাতো দাদার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। এ নিয়েই আপত্তি ছিল ওই নাবালিকার পরিবারের লোকের। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। পুলিশ তখন উদ্ধার করে তুলে দেয় পরিবারের হাতে। এর পরই খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। অভিযোগ, পরিবারের সম্মানার্থেই ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার খিলচিপুর থানার অন্তর্গত খাড়চাখেড়ি গ্রামে। ঘটনার দিন দুয়েক পর নাবালিকা খুনে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামা ও মামাতো দাদা বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে নাবালিকাকে মেরে ফেলে। কিন্তু গ্রামবাসীদের কাছে অভিযুক্তরা জানায়, শারীরিক অসুস্থতা থাকায় মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খবর যায় খিলচিপুর থানায়। কিশোরীর ময়নাতদন্ত করা হয়। তার পরই বিষ খাইয়ে খুনের বিষয়টি সামনে আসে। এর পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মা ২ বছর আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পর থেকে মামার বাড়িতেই থাকত সে। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাবালিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তা নিয়েই বিরক্ত ছিলেন মামা ও মামাতো ভাই। সে জন্যই খুন হতে হয় তাকে। ঘটনা নিয়ে খিলচিপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মুকেশ গৌর বলেছেন, “কিশোরীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি পালিয়ে গিয়েছিলেন কিশোরী। তখন থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার মামা। পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরে খবর আসে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে দুই অভিযুক্তই দাবি করছিল স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। কিন্তু তদন্তের পর জানা যায়, নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। এর পরই অভিযুক্তকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আপাতত জেলে রয়েছে।”