MP Stampede: সবে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়েছিল, মন্দিরের ভিতরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন ভক্তরা…
MP Stampede: আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। শেষের দিকে বেশ কয়েকজন ভক্ত তাঁদের পরিবারকে নিয়ে প্রথম সারিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন গার্ডরেল টপকে।
ভোপাল: রামকথা শুনতে হাজির হয়েছিলেন হাজার খানেক মানুষ। পূজা-পাঠ শেষ হতেই শুরু হয়েছিল প্রসাদ বিতরণ। আর তাতেই হল বিপত্তি। নারকেল প্রসাদ কুড়োতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হলেন কমপক্ষে ১৭ জন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের সাগর জেলায়। সেখানের বিনা শহরে রামকথার আয়োজন করা হয়েছিল। পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ শুরু হলে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। প্রসাদ কুড়োতে গিয়েই পদপিষ্ট হন ১৭ জন। অনেকেরই হাত-পা ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রামকথার আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, কিন্তু উপস্থিত জনতা প্রসাদ কুড়োতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করতেই দুর্ঘটনা ঘটে। কমিটির ভলান্টিয়ার আকাশ রাজপুত বলেন, “আমাদের তরফে নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি ছিল না। কিছুজন তাদের পরিবারকে নিয়ে সামনের সারিতে বসার ও প্রসাদ কুড়োনোর চেষ্টা করতেই দুর্ঘটনা ঘটে। লাইন তৈরির জন্য যে গার্ডরেলগুলি রাখা ছিল, তা ভক্তদের গায়ের উপরই পড়ে যায়।”
Seventeen devotees were injured after a stampede broke out during the distribution of coconuts at a Ram Katha in Bina @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/E3dgeOGroz
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) May 15, 2022
আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। শেষের দিকে বেশ কয়েকজন ভক্ত তাদের পরিবারকে নিয়ে প্রথম সারিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন গার্ডরেল টপকে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ও প্রথমসারিতে বসে থাকা দর্শকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এরপরে। প্রসাদ বিতরণ শুরু হলে আরও বিশৃঙ্খলা বাড়ে। ধাক্কা খেয়ে যাঁরা মাটিতে পড়ে যান, তাঁদের পায়ে চাপা দিয়েই অনেকে প্রসাদ নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময়ে প্রায় ২৫ হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। নারকেল প্রসাদ বিতরণ শুরু করতেই ভক্তরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। আহতদের সিভিল হাসপাতাল ও বীণা রিফাইনারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিভিল হাসপাতালেই কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। বীণা রিফাইনারি হাসপাতালে কতজন ভর্তি রয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।