কেরলে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা! আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার ঘোষণা মহারাষ্ট্রের
যাঁরা বিমানপথে যাতায়াত করবেন, তাঁদের যাত্রার কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। যদি যাত্রীর কাছে রিপোর্ট না থাকে, তবে তাঁদের বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং সেই খরচ যাত্রীদেরই বহন করতে হবে।
মুম্বই: করোনার প্রথম ঢেউয়েই কুপোকাত হয়েছিল মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। তাই এবার অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পথই অনুসরণ করছে ঠাকরে সরকার। কেরলে স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মহারাষ্ট্রে কেরলযাত্রীদের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হল। আজ রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, যেসকল যাত্রীরা কেরল থেকে মহারাষ্ট্রে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা (RT-PCR Test) করাতে হবে।
মহারাষ্ট্রে আগে থেকেই গুজরাট, দিল্লি, গোয়া ও রাজস্থানের যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানোর নিয়ম ছিল। এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল কেরলের নামও। রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “২৩ নভেম্বরের নির্দেশিকা জারি রেখেই ও ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্য এক্সেকিউটিভ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কেরল থেকে মহারাষ্ট্রে আগত যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।”
আরও পড়ুন: বাড়ছে ঋষিগঙ্গার জলস্তর, সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়েই চালু রইল উদ্ধারকার্য
যাঁরা বিমানপথে যাতায়াত করবেন, তাঁদের যাত্রার কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। যদি যাত্রীর কাছে রিপোর্ট না থাকে, তবে তাঁদের বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং সেই খরচ যাত্রীদেরই বহন করতে হবে।
একইভাবে রেলপথে মহারাষ্ট্রে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক। রেলযাত্রার ৯৬ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। যদি কোনও যাত্রীর কাছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকে, তবে স্টেশনেই তাঁর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে এবং যাত্রীর কোনও উপসর্গ দেখা দিলে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁদের কোভিড সেন্টারে ভর্তি করানো হবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীকেই যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। সড়কপথে আগত যাত্রীদের সীমান্তে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে।
সম্প্রতি কেরলে স্কুল খুলতেই দুটি সরকারি স্কুল মিলিয়ে মোট ১৯০ জন পড়ুয়া ও ৭০ জন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হন। এরপরই কেরল সরকারের তরফে প্রতিটি পড়ুয়ার থার্মাল স্ক্রিনিং করা বাধ্যতামূলক করা হয়। বুধবার কেরলে মোট ৫৯৮০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রেও গতকাল ৩৪৫১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই, সেখানে এখনও অবধি মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ২৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজার ৩৯০ জন।
আরও পড়ুন: দল, সংসদ, মন্ত্রিত্ব ছাড়াই ‘মানুষের সেবা’ করবেন আজ়াদ