এ বার কী তবে লকডাউন? সিদ্ধান্ত নিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের
মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে সপ্তাহ শেষে লকডাউন। চলবে সোমবার অবধি। এরই মাঝে শুক্রবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে(Rajesh Tope) জানিয়েছেন, রাজ্যে যে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আরও দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের প্রয়োজন।
মুম্বই: প্রতিনিয়তই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। করোনা রোখার ছক কষতে তাই সর্বদলীয় বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। এই বৈঠকে আরও কড়া নিয়মবিধি, এমনকি লকডাউন (Lockdown) নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-এই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের। এ দিকে, রাজ্যে করোনা টিকার ভাঁড়ারেও টান পড়েছে। ইতিমধ্যেই মুম্বই, নাগপুর সহ একাধিক জেলায় বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে টিকাকরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নৈশ কার্ফু(Night Curfew)-র পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে লকডাউনের ঘোষণাও করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই বিধি নিষেধ সত্ত্বেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সূচক ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিলেন। সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকে রাজ্যজুড়ে লকডাউনের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
সপ্তাহন্তে লকডাউন নিয়ে বিজেপি ও নব নির্মাণ সেনার তরফে বিরোধিতা করা হলেও শুক্রবারই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে(Rajesh Tope) জানিয়েছেন, রাজ্যে যে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আরও দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের প্রয়োজন। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী বিজয় ওয়াডেত্তিদারও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহের লকডাউনের প্রয়োজন।
আজকের বৈঠকের আগে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি প্রতিটি হাসপাতালে বেড সংখ্যা বৃদ্ধি, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের পুনর্বহাল করার প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ‘না’, রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কড়া বিধিনিষেধে সায় মুখ্যমন্ত্রীর