Manipur CM: ‘ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত বেড়া দেওয়া প্রয়োজন’, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

India-Myanmar border: ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ১,৬০০ কিলোমিটার। মায়ানমারের সঙ্গে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে পূর্ব মণিপুরের ৫টি জেলা। কিন্তু, এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ শতাংশের কম অংশ বেড়া দেওয়া রয়েছে। ফলে এই সীমান্ত মাদক পাচারকারীদের জন্য উন্মুক্ত বলা যায়।

Manipur CM: 'ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত বেড়া দেওয়া প্রয়োজন', বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী
সীমান্তে অতিরিক্ত বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর।Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2023 | 10:25 PM

ইম্ফল: দীর্ঘ কয়েক মাসের অশান্তির পর ধীরে-ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। শনিবার থেকেই রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে। এরপরই রাজ্যের সীমান্তে বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং (CM N. Biren Singh)। মণিপুর-লাগোয়া ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ফেন্সিং করা ‘জরুরি প্রয়োজন’ বলে জানান তিনি।

মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। পরে এই বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে X হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।

জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের মুখ্য সচিব, বিআরও-র আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের আধিকারিক এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং। কেন্দ্রের কাছে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রিজাইম’ শেষ করারও আবেদন জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ‘ফ্রি মুভমেন্ট রিজাইম’-এর অধীনে ভারত-মায়ানমার সীমান্তের উভয় পাশের বসবাসকারীরা কোনও অনুমতিপত্র ছাড়াই একে-অপরের ভূখণ্ডে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। সেই সুযোগেই মায়ানমার থেকে অভিবাসীরা অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তত ১৪-১৫ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থান করতে পারে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি বলেন, “ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত ৭০ কিলোমিটার বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করার পরিকল্পনার ব্যাপারে বিআরও আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। মুখ্য সচিব, ডিজিপি ও স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি।” সীমান্তে অতিরিক্ত বেড়া দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার বাড়ার প্রেক্ষিতেই সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এবার রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যের আসল বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে হবে, যেমন অবৈধ অভিবাসীদের আগমন, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং অতিরিক্ত আফিম চাষের বিরুদ্ধে লড়াই করা।”

প্রসঙ্গত, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ১,৬০০ কিলোমিটার। মায়ানমারের সঙ্গে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে পূর্ব মণিপুরের ৫টি জেলা। কিন্তু, এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ শতাংশের কম অংশ বেড়া দেওয়া রয়েছে। ফলে এই সীমান্ত মাদক পাচারকারীদের জন্য উন্মুক্ত বলা যায়।