Mamata Banerjee: ‘সকলে মিলে ঠিক করব’, বৈঠক শেষে বার্তা মমতার, কে হতে পারেন প্রার্থী মিলল সেই ইঙ্গিতও
Presidential Election: বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে (Constitution Club) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা ডাকা বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারই রাজধানী দিল্লিতে পা রেখছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নির্বাচনের কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ জুলাই দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নয়া রাষ্ট্রপতি। বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে (Constitution Club) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা ডাকা বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। গতকাল দিল্লি পৌঁছেই বিমানবন্দর থেকে সটান এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মমতা। সেখানে দুই রাজনীতিকের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়েছিল। ২২ টি বিরোধী দলের প্রধান এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানালেও মমতার বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন, সেই নিয়ে বিবিধ জল্পনা দেখা গিয়েছে। বুধবারের বৈঠকে কংগ্রেস, এনসিপি, সপা, আরজেডির মতো দল উপস্থিত থাকার কথা জানালেও কংগ্রেস থাকার কারণে বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিরোমণি অকালি দল এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের টিআরএস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা যাবতীয় আপডেট এক নজরে দেখে নেওয়া যাক… (বৈঠকের সর্বশেষ আপডেট প্রথম দিকে থাকবে)
- নিজের ডাকা বৈঠক শেষে একপাশে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং অন্য পাশে শরদ পওয়ারকে বসিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই সহ অনেক রাজনৈতিক দলের বন্ধুরা উপস্থিত রয়েছে। যে দু-একটি দল বৈঠকে আসেনি তাদের হয়তো অন্য কোনও কারণ রয়েছে, অথবা তাঁরা কোনও কাজে ব্যস্ত। বৈঠকে আমরা সর্বসম্মতভাবে শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। তিনি রাজি হলে সকলে তাঁকে সমর্থন করবে, রাজি না হলে, যৌথভাবে আলোচনার ভিত্তিতে একজনকে প্রার্থী করা হবে এবং অন্যরা তাঁকে সমর্থন করবে। খুব ভাল সূচনা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, আগামী দিনে আবারও এমন বৈঠক হবে।”
- বৈঠক শেষে দিল্লির কনস্টিশন ক্লাবের সাংবাদিক বৈঠকে সুধিন্দ্র কুলকর্নি জানিয়েছেন, সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নেওয়া হয়েছে এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্ব সম্মতভাবে একজনকেই প্রার্থী করা হবে যে সংবিধানের রক্ষা কর্তা হিসেবে কাজ করবেন। মোদী সরকার যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, তা রুখতে এমন একজন করেই রাষ্ট্রপদে প্রয়োজন।
- এই বৈঠক শুরুর প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব বৈঠকে আসতে শুরু করেছেন। বেশ কিছুক্ষণ আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে সিপিআইএমএলের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জয়রাম রমেশ এবং তৃণমূল নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহাকে কনস্টিটিউশন ক্লাবে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে। শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও মনোজ ঝা, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্যাম, সিপিএম নেকা এলামরাম করিম, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, ডিএমকের টিআর বালুও সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কনস্টিটিউশন ক্লাবে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে।
- তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার মমতা ডাকা বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। জানা গিয়েছে, এদিনের বিতর্কে কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, সিপিআই এবং আরএলডির মতো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে।
- বাংলায় তৃণমূল-সিপিএম আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। প্রথম বৈঠকে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও, যেখানে সিংহভাগ বিরোধী দল উপস্থিত থাকছে, সেখানে উপস্থিত না থাকলে ‘একঘরে’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে সিপিএমের তরফে রাজ্যসভা নেতা এলারাম করিম এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
- মমতা যেখানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জাতীয় রাজনীতিতে বাড়তি প্রাসঙ্গিকতা আদায়ের চেষ্টা করছে, সেখানে কংগ্রেসের উপস্থিতিকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দল এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস। কংগ্রেসের উপস্থিতি তৃণমূল নেত্রীর কাছে খানিক ধাক্কার বলেই মনে করা হচ্ছে।
- মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল থাকলেও আজকের বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টির কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে না। আপ জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চিন্তা ভাবনা করছে।
- ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলকেও আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন মমতা। তবে বিজেডি উপস্থিত থাকবে না বলেই জানা গিয়েছে। মমতা বা তৃণমূলের তরফে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং এআইএমআইএমকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।