Ram Madhav: ‘অর্জুনের মতো পাখির চোখ দেখে না চিন’, তাড়াহুড়ো করার বিষয়ে সতর্ক করলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব

Ram Madhab: ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধানে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। কারণ, ভারতের এবং চিনের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। কীভাবে ঠেকানো যাবে বেজিং-কে, জানালেন বিজেপি নেতা রাম মাধব।

Ram Madhav: 'অর্জুনের মতো পাখির চোখ দেখে না চিন', তাড়াহুড়ো করার বিষয়ে সতর্ক করলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব
ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ মেটাতে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ রাম মাধবের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 2:20 PM

নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে আরও সামরিক পরিকাঠামো গড়ার কাজ চালিয়েই যাচ্ছে চিন। অতি সম্প্রতি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। তবে, ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধানে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবদ্দশায় এই বিরোধের সমাধান করব, এই ভাবনা নিয়ে এগোলে এই দীর্ঘস্থায়ী বিবাদের সমাধান পাওয়া যাবে না। চিন একটি সাংস্কৃতিক জাতি, তাদের সঙ্গে এই ভাবনা নিয়ে এগোলে কাজ হবে না।’ মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অনিল ভাটের লেখা ‘চায়না ব্লাডিজ বুলেটলেস বর্ডারস’ নামে বই প্রকাশ করে রাম মাধব জানান, ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধান কোনও নেতার ‘উত্তরাধিকার’ হবে, এমনটা মনে করা উচিত নয়। কারণ, কে যে শেষ পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান করবে, তা কেউ জানে না।

এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিনের সীমান্ত বিরোধের কথা। শেষ পর্যন্ত যে সীমান্ত বিরোধের সমাধান করেছিলেন বরিস ইয়েলৎসিন। পুরোদস্তুর মাতাল বলে পরিচিত ইয়েলৎসিন ছিলেন, সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর নবগঠিত রাশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি। রাম মাধব বলেন, ‘কেউ কি ভাবতে পেরেছিলেন যে ইয়েলৎসিন সেই সমস্যার সমাধান করবেন? কিন্তু এর কৃতিত্ব তিনিই পেয়েছেন।’ কাজেই কেউ যদি আমিই এই সমস্যার সমাধান করব, এমনটা ধরে নিয়েই এই দ্বন্দ্ব মেটাতে যান তাহলে এর সমাধান হবে না বলেই জানিয়েছেন রাম মাধব। কারণ, চিন যে কোনও দেশ নয়। এটি একটি সভ্যতা, তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে।

বস্তুত, ভারত এবং চিনের যুদ্ধের কৌশল একেবারে আলাদা বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। এই প্রসঙ্গে তিনি যুদ্ধ বিষয়ক প্রাচীন চিনা গ্রন্থ, সান জু-এর লেখা ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। রাম মাধবের মতে, চিনকে বুঝতে গেলে তারা কী পদক্ষেপ করল, শুধু তা দেখলে চলবে না। দেখতে হবে, সেই পদক্ষেপের পিছনে তাদের কী চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। রাম মাধব জানিয়েছেন, চিন মনে করে, স্বর্গ এবং পৃথিবীর মধ্যে এক মধ্যম রাজ্যের বাসিন্দা তারা। অর্থাৎ, বিশ্বের আর কোনও জাতিই তাদের থেকে উন্নত তো নয়ই, এমনকী, তাদের সমানও হতে পারে না।

ভারত ও চিনের ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কথাও উল্লেখ করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয়রা একটি খুব রোমান্টিক এবং আদর্শবাদী। এমনকি, আমরা যখন রণকৌশল নিয়েও কথা বলি, আমরা গাছের ডালে পাখির চোখের দিকে অর্জুনের একক মনোনিবেশের কথা বলি। কিন্তু সান জু বলেছেন, আপনার যদি একটি লক্ষ্য থাকে, তবে এটিকে কখনোই একক লক্ষ্য করবেন না, বরং পাঁচটি লক্ষ্যে আক্রমণ করবেন। সুতরাং চিন একইসঙ্গে বাঁধ নির্মাণে করবে। সীমান্তে যুদ্ধ করবে। তারা আপনার সঙ্গে কথাও বলবে।’

তাহলে চিনকে ঠেকানোর উপায় কী? রাম মাধব জানিয়েছেন, চিনকে ঠেকাতে হবে চিনের ওষুধেই। দৃঢ়ভাবে সীমান্ত রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাও চালিয়ে যেতে হবে। ডোকলাম এবং গালওয়ান সংঘর্ষের সময় ঠিক যে রাস্তা নিয়েছিল মোদী সরকার। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দলই সেই সময়ে মোদী সরকারের সেই কৌশলের সমালোচনা করেছিল।