Bus Accident: সাতসকালেই নদীতে ভেসে উঠল আরও ২টি দেহ! বাস দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
Bus Fell into River in Meghalaya: বাসের ভিতরে কয়েকজন যাত্রী আটকে থাকলেও অধিকাংশই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শিলং: নদী থেকেই উদ্ধার হল আরও দুটি দেহ। বুধবার মেঘালয়(Meghalaya)-র তুরা থেকে শিলং(Shillong)-গামী একটি বাস নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু ও ১৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু একদিন কাটতে না কাটতেই ফের দুটি দেহ উদ্ধার করা হল ওই নদী থেকেই। মনে করা হচ্ছে, ওই বাস দুর্ঘটনাতেই এই দু’জনেরও মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা নাগাদ ওই বাসটি মেঘালয়ের তুরা থেকে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১২টা নাগাদ নোঙ্গচ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই পাহাড়ের বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। সোজা নিচের রিঙ্গডি নদীতে পড়ে যায়। সেই সময় বাসে কমপক্ষে ২১ জন যাত্রী ছিল বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আহত ও মৃতদের মোট সংখ্যার সঙ্গে সেই হিসাব না মেলায় মনে করা হচ্ছে, বাসে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই নদী থেকে দুটি দেহ উদ্ধার হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮-এ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার রাত থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়েছিল। দড়ি বেধে উদ্ধারকারী দলকে নদীতে নামানো হয়। সেখান থেকেই তারা আহতদের উদ্ধার করে। বুধবার বাসের ভিতর থেকে ২টি ও নদী থেকে ৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
খরস্রোতা নদীর জলের বেগে যাত্রীরা ভেসে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নদীর পাড়ে নজর রাখতে বলা হয়েছিল। বুধবারের রাতের পর বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পরও কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রথম দেহটি উদ্ধার হয়। পরে দুপুরে আরও একটি দেহ ভেসে ওঠে। মোট ৮টি দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আহত ও মৃত যাত্রীদের মধ্যে ৯জন তুরার বাসিন্দা ছিলেন এবং ১২ জন উইলিয়ামনগরের। আহতদের আপাতত একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। শুক্রবারই উদ্ধারকার্য শেষ করে দেওয়া হয়েছে। তবে নদীতে আরও কেউ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।