Farmers Protest: ‘যদি পথ আটকে আন্দোলনই করেন, তবে আদালতে আসবেন না’, ফের ‘সুপ্রিম’ সমালোচনার মুখে কৃষক আন্দোলন

Supreme Court Criticize Farmers Protest: আদালতের প্রশ্ন, কৃষি আইনের বিষয়টি শীর্ষ ​আদালতে পৌঁছনোর পরও কীভাবে পথ আটকে আন্দোলন চালাতে পারেন কৃষকরা?

Farmers Protest: 'যদি পথ আটকে আন্দোলনই করেন, তবে আদালতে আসবেন না', ফের 'সুপ্রিম' সমালোচনার মুখে কৃষক আন্দোলন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 10:22 AM

নয়া দিল্লি: আদালতে মামলা পাশাপাশি কীভাবে পথ আটকে আন্দোলন চলতে পারে?, আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিগত ১০ মাস ধরে দিল্লির তিন সীমান্তে পথ আটকে কৃষকরা কেন্দ্রের যে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Farmers Protest) চালাচ্ছে, তা নিয়ে চলতি সপ্তাহেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার ফের এক কৃষক সংগঠন দিল্লির জন্তর মন্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতির জন্য আবেদন জানালে তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট।

জয়পুরের কিসান মহাপঞ্চায়েত(Kisan Mahapanchayat)-র তরফে দিল্লির জন্তরমন্তরে কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি চালানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কৃষক সংগঠনের দাবি, দিল্লিতে করোনাবিধি শিথিল করা হলেও ২০০ জনের আন্দোলনের কিছুতেই অনুমতি দিচ্ছে না দিল্লি পুলিশ।

শুক্রবার বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে, সুপ্রিম কোর্টে কৃষি আইনের বৈধ্যতা নিয়ে একাধিক কৃষক সংগঠনের তরফে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, তার মধ্যে এই কৃষক সংগঠনটিও ছিল। আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, এর দিকে শীর্ষ আদালতের তরফে আইনের উপর দেড় বছরের স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, কৃষকরা এখনও দিল্লির প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে আন্দোলন করছে। আদালতে বিষয়টি পৌঁছনোর পরও কীভাবে পথ আটকে আন্দোলন চালাতে পারেন তারা?

বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রবেশদ্বারেই সড়ক অবরোধ করে গোটা শহরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন আপনারা শহরের ভিতরে এসেও আন্দোলন করতে চান। কৃষি আইন সংক্রান্ত বিষয়টি যখন শীর্ষ আদালতে বিরাধাহীন পর্যায়ে রয়েছে, সেই সময় আপনারা ফের পথ আটকে আন্দোলন করতে পারেন না। আপনারা কি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন?”

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, নাগরিকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে। কৃষকদের আন্দোলনের জেরে তাদের সেই অধিকার যে খর্ব হচ্ছে, এ কথা কি চিন্তা করেছে কৃষকরা?  কৃষকদের এই অসহযোগিতার তীব্র সমালোচনা করে আদালতের তরফে বলা হয়, “আপনাদের আন্দোলনের জেরে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছেন, তাদের কাজে ক্ষতি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের দাবি, আপনারা সেনাবাহিনীর গাড়িকেও আটকেছেন। আপনারা কখনও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছেন, কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করছেন। এরপরও আপনারা বলছেন যে এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ।”

জয়পুরের ওই কিসান মহাপঞ্চায়েতকে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, একটি হলফনামা দাখিল করতে, যেখানে উল্লেখ করা থাকবে যে তারা দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার সড়ক অবরোধ করে যে আন্দোলন চলছে, তার অংশ নন। বিচারপতিরা বলেন, “একই বিষয় নিয়ে চলা আন্দোলন থেকে আপনারা নিজেদের আলাদা বলে দাবি করতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টে একটি বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে আবেদন চেয়ে তারপরই সেই বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন না। যদি আপনাদের আন্দোলনই করতে হয়, তবে দয়া করে আদালতে আসবেন না।”

চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও শীর্ষ আদালতের তরফে কৃষক আন্দোলনের সমালোচনা করে বলা হয়েছিল যে, এভাবে চিরকাল পথ আটকে আন্দোলন চলতে পারে না।

আরও পড়ুন: Delhi: বর্ষায় বেহাল দশা, ১০ দিনের মধ্যেই শহরের সমস্ত রাস্তা খানা-খন্দহীন করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর