Uttar Pradesh: বিষপান-এ মৃত অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’! সত্যিই নাবালিকাকে গণধর্ষণ, নাকি অন্য কিছু দেখে ফেলেছিল বাবা

Bjnor alleged gangrape case: এক ১৬ বছরের নাবালিকার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। বিষপান করে প্রধান অভিযুক্তের মৃত্যুতে জটিল হল রহস্য।

Uttar Pradesh: বিষপান-এ মৃত অভিযুক্ত 'প্রেমিক'! সত্যিই নাবালিকাকে গণধর্ষণ, নাকি অন্য কিছু দেখে ফেলেছিল বাবা
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 2:56 PM

বিজনোর: গণধর্ষণ না প্রেমে পরিবারের বাধা – এই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজছে পুলিশ। ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে তারই তিন ছেলে বন্ধু গণধর্ষণ করেছে। যার জেরে সে বিষপান করেছে, এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তবে, শুধু ওই নাবালিকাই নয়, বিষপান করেছে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তও। দুজনকেই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ছেলেটির, মেয়েটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় অন্য দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজনোরে (Bijnor) জলিলপুর এলাকার ঘটনা।

জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা এবং অভিযুক্তরা প্রতিবেশী, একই আবাসনে থাকে। নাবালিকার বাবা পুলিশে অভিযোগ করেছেন, শনিবার রাতে তাঁর মেয়ে ওই তিন অভিযুক্তের খপ্পরে পড়েছিল। তারা তাকে গণধর্ষণ করে। আর তার জেরেই তাঁর মেয়ে বিষপান করেছে।

এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে প্রধান অভিযুক্তের পরিবার। তাদের দাবি, ছেলেটি এবং মেয়েটির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে, ছেলেটিকে গোপনে তার বাড়িতে ডেকেছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু, তাদের একসঙ্গে দেখে ফেলেছিলেন এক প্রতিবেশী। তিনিই নাবালিকার বাবাকে খবর দিয়েছিলেন। এরপর, নাবালিকার বাবা ছেলেটিকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক প্রহার করতে শুরু করেছিল। এমনটাই দাবি অভিযুক্ত ছেলেটির পরিবারের।

তারা আরও বলেছে, ছেলেটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মেয়েটি অনেক কাকুতি-মিনতি করেছিল। এমনকী, তার ‘বয়ফ্রেন্ড’কে না ছাড়লে সে বিষপান করবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। তবে, তার বাবা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার কথা কানে নেয়নি। এরপরই মেয়েটি বিষপান করে বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত নাবালকের পরিবার। তাদের আরও অভিযোগ, ছেলেটি কোনওভাবে মেয়েটির পরিবারের খপ্পর থেকে নিজেকে মুক্ত করেছিল। প্রাণভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল জঙ্গলে। এরপর সে তার প্রেমিকার বিষপানের খবর পায়। সেই ধাক্কা মেনে নিতে পারেনি। নিজেও একই রাস্তা বেছে নিয়েছিল।

প্রধান অভিযুক্ত কিশোরের মৃত্যু হলেও, মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজনোরের এসপি ধরমবীর সিং জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারার পাশাপাশি পকসো আইনের ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত যে, ছেলেটি এবং মেয়েটির মধ্যে গত কয়েকমাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা আরও জানতে পেরেছে শনিবার রাতে তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তবে তারপর ঠিক কী ঘটেথিল, তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।

অন্যদিকে নাবালিকার বাবাই অভিযোগ জানালেও তিনি সব সত্যি বলছেন, এমনটা মনে করছে না পুলিশ। গণধর্ষণ হয়ে থাকলে, কেন তিনি আগেই অভিযোগ জানালেন না, কেন মেয়েটির বিষপানের পরই তার বাবা পুলিশে অভিযোগ করলেন – এই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে তাদের। এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে এই ঘটনার বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজনোরের এসপি।