Murder Case: ‘হ্য়াঁ, ওদের আমিই খুন করেছি!’, পেটে মদ পড়তেই ৩০ বছর আগের খুনের হাড়হিম গল্প বলল অবিনাশ
Crime News: কখনও ঔরঙ্গাবাদ, কখনও পিম্পরি-চিঞ্চওয়াদ, আহমেদনগর ঘুরে শেষে মুম্বইয়ের ভিকরোলিতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই নতুন নামে আধার কার্ড তৈরি করেন, বিয়ে করে সংসার পাতেন। এমনকী স্ত্রীকে রাজনীতিতেও নামান তিনি।
মুম্বই: আত্মবিশ্বাস থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসই যদি মাত্রা ছাড়ায়, তবে উপকারের থেকে বিপদই ডেকে আনে বেশি। এই কথাটা যে কতটা সত্য, তার প্রমাণ দিলেন অবিনাশ পওয়ার নামক এক ব্যক্তি। পেটে মদ পড়তেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে উগড়ে দিলেন তিন দশক আগের কথা। চুরি করতে গিয়ে কীভাবে জোড়া খুন করেছিলেন এবং এই দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছেন, তার বিস্তারিত তথ্য় বলে ফেলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল কই, শুক্রবারই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করে ওই ব্যক্তিকে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯৩ সালে মহারাষ্ট্রের লোনাভালায় এক বাড়িতে চুরি হয়। চোরেরা বাড়ির মালিক বছর পঞ্চান্নের এক ব্যক্তি ও তাঁর পঞ্চাশ বছরের স্ত্রীকে নৃংশসভাবে খুন করে। তদন্তে নেমে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু সম্প্রতিই এই তথ্য সামনে আসে যে ওই খুনের ঘটনায় দুইজন নয়, মোট তিনজন অভিযুক্ত ছিল। অবিনাশ পওয়ার নামক ওই ব্যক্তির সেই সময় বয়স ছিল ১৯ বছর। বাকি দুই অভিযুক্তের সঙ্গে তিনিও চুরি করতে গিয়েছিলেম এবং খুনের ঘটনাতেও জড়িত ছিলেন। কিন্তু পুলিশি তদন্ত শুরু হওয়ার পর দিল্লি ছেড়ে পালিয়ে যান।
দিল্লি থেকে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে পালিয়ে আসেন অবিনাশ। সেখানে এসে অমিত পওয়ার নামে ড্রাইভিং লাইসেন্সও বের করেন। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অবিনাশ বারংবার নিজের ঠিকানাও বদল করেন। কখনও ঔরঙ্গাবাদ, কখনও পিম্পরি-চিঞ্চওয়াদ, আহমেদনগর ঘুরে শেষে মুম্বইয়ের ভিকরোলিতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই নতুন নামে আধার কার্ড তৈরি করেন, বিয়ে করে সংসার পাতেন। এমনকী স্ত্রীকে রাজনীতিতেও নামান তিনি।
খুনের ৩০ বছর কেটে গেলেও কখনও আর লোনাভালায় যাননি অবিনাশ। নিজের মা কিংবা স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেননি। এত কিছুর পরে তাঁর মধ্যে চরম বিশ্বাস ছিল যে পুলিশ কখনও তাঁকে ধরতে পারবে না। সম্প্রতিই বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসরে বসেই আড্ডার ফাঁকে মত্ত অবস্থায় যাবতীয় সত্য উগরে দেন। ব্য়াস আর কী। ওই আসরেই উপস্থিত একজন পুলিশের সিনিয়র আধিকারিক তথা এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দয়া নায়ককে খবর দেন। এরপরই শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় অবিনাশ ওরফে অমিতকে।