Mumbai Police: ‘সীমাকে ফেরাতে হবে পাকিস্তানে, নাহলে ফের ২৬/১১’, হুমকি মুম্বই পুলিশকে

26/11-like terrorist attack threat: পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকার বাসিন্দা, ২২ বছরের যুবক সচিন মীনার। সেই থেকে প্রেম। এরপরই, তাঁর চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সীমা হায়দার।

Mumbai Police: 'সীমাকে ফেরাতে হবে পাকিস্তানে, নাহলে ফের ২৬/১১', হুমকি মুম্বই পুলিশকে
সীমা পাকিস্তানে না ফিরলে ফের হামলা, দেওয়া হল হুমকিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2023 | 6:33 PM

মুম্বই: প্রায় এক মাস আগে, গ্রেটার নয়ডার এক বাসিন্দার প্রেমে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক সীমা গোলাম হায়দার। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই), তাঁকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে, হমকি ফোন এল মুম্বই পুলিশের কাছে। ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি ফোন কলটি এসেছিল মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের কাছে। এরপরই, মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এই বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছে। অপরাধ দমন শাখার সন্দেহ, ফোনটি সম্ভবত ভুয়ো। তবে এই বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না মুম্বই পুলিশ। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, “কন্ট্রোল রুমে যে হুমকি ফোনকলগুলি আসে, তার প্রত্যেকটিকে আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে সেই ফোনকলের বিষয়ে পদ্ধতি মেনে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হয়।

চলতি মাসের শুরুতেই, সীমা গোলাম হায়দারের অদ্ভুত কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছিল নেট দুনিয়ায়। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রিন্দ হাজানা গ্রামের এই বাসিন্দা চার সন্তানের মা। পিইউবিজি বা পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকার বাসিন্দা, ২২ বছরের যুবক সচিন মীনার। সেই থেকে প্রেম। এরপরই, তাঁর চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তারপর, কোনও পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই সচিন মীনার বাড়িতে প্রায় একমাস ধরে বসবাস করা শুরু করেছিলেন। জুন মাসের মাঝামাঝি সীমাকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে ভারতে প্রবেশের জন্য গ্রেফতার করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সচিন ও তাঁর বাবাকেও। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ এবং তাঁর অতীত জীবনের প্রেক্ষিতে সীমা হায়দার পাক গুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই-এর এজেন্ট বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।

এই অভিযোগ অবশ্য প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছিল এই দম্পতি। পরে উত্তর প্রদেশের এক নিম্ন আদালত তিনজনকেই জামিন দেয়। আপাতত, সচিনের সঙ্গেই থাকছেন সীমা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না। সচিনের সঙ্গে ভারতেই সংসার করতে চান। এই পরিস্থিতিতেই এই হুমকি ফোনকল এসেছে। হমকি পোনকলটির বিষয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশকেও খবর দিয়েছে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তবে, এখনও এই বিষয়ে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।

মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এদিন মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। উর্দুতে বলা হয়, “সীমা হায়দার পাকিস্তানে ফিরে না এলে ভারত ধ্বংস হয়ে যাবে। ২৬/১১-র মতো সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এই হামলার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার দায়ী থাকবে।” পুলিশের মতে, কলটি করা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। কারণ ফোন নম্বরের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোড +১ ছিল। পুলিশকর্তাদের সন্দেহ, যাতে কলারের অবস্থান শনাক্ত না করা যায়, তার জন্য কোনও অ্যাপ ব্যবহার করে কলটি করা হয়েছে। অপরাধ দমন শাখার এক কর্তা বলেছেন, “এই মুহুর্তে, কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সাইবার সেল কলারের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।”