Manipur violence: ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, মণিপুর হিংসা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিতর্কের প্রস্তাব ফেরাল ভারত

Manipur Violence European Union: ১১ জুলাই, মণিপুরে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিতর্কের প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

Manipur violence: 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', মণিপুর হিংসা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিতর্কের প্রস্তাব ফেরাল ভারত
৪০,০০০-এর বেশি মানুষের স্থান হয়েছে ত্রাণ শিবিরেImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2023 | 5:39 PM

নয়া দিল্লি: মণিপুরের হিংসার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি বিতর্কের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করল ভারত। ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন, “আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আমরা তাদের জানাতে চাই, এই বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।” এর আগে ১১ জুলাই, মণিপুরে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিতর্কের প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা দাবি করেছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারত বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্র। দুই গণতন্ত্রই মানবাধিকার রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এই বিষয়ে বিতর্ক হোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই), নয়া দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, এই বিষয়ে ভারত সরকার নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কারভাবে জানানোর পরও ইউরোপীয় সংসদে এই বিষয়ে বিতর্ক আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা ভারতের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউরোপীয় সংসদ এই বিষয়ে কী বলেছে তা আমরা জানি। এই বিষয়ে ইউরোপীয় সংসদের সদস্যদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, এটা সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই অন্য কোথাও এই বিষয়ে বিতর্ক চলতে পারে না।”

মঙ্গলবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছিল, মণিপুর রাজ্যে মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি উপজাতির মধ্যে জাতিগত হিংসার সূত্রপাত হয়েছে। এর ফলে ১০০-রও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৪০,০০০-এরও বেশি মানুষ। ধ্বংস কর হয়েছে বহু বাড়ি, ধর্মীয় স্থান। এর আগেও মণিপুরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। বর্তমানে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি অভিযোগ করছে, মণিপুরে বিভাজনমূলক নীতি প্রয়োগ করছে সরকার। অত্যাচার হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে আফস্পা জারি, ইন্টারনেট বন্ধ রাখা এবং স্থানীয় নেতাদের উসকানিমূলক বক্তৃতার নিন্দা করেছিল এই রাষ্ট্র গোষ্ঠী।