অন্য এক জনকে বিয়ে করে স্ত্রী, ক্ষোভে শাশুড়ির গোপনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে খুন জামাইয়ের!

Murder: স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্বশুড়বাড়ি যায় অভিযুক্ত। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন এবং তিনি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।

অন্য এক জনকে বিয়ে করে স্ত্রী, ক্ষোভে শাশুড়ির গোপনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে খুন জামাইয়ের!
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 6:01 PM

মুম্বই: আবারও ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী থাকল বাণিজ্য নগরী। শাশুড়িকে খুন করে তার গোপানাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে প্রত্যঙ্গ বের করে আনল জামাই।

কী ঘটেছিল সেইদিন?

পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত তিন বছর ধরে জেলে ছিল। ১ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ছাড়া পায় সে। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন এবং তিনি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। তখন ওই যুবক স্ত্রীকে হুমকি দেয় তিনি যেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে ছেড়ে দেন। পরের দিন আবার সেখানে যায় অভিযুক্ত। গিয়ে জানতে পারে যে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। কোথায় গিয়েছে জানতে চায় শাশুড়ির কাছে। কিন্তু তার কোনও উত্তর দেয়নি পৌঢ়া।

এরপরই নারকীয় হত্যা চালায় অভিযুক্ত। প্রথমে ওই প্রৌঢ়ার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তারপর তার বুকে ছুড়ি মারে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরও থেমে থাকেনি যুবক। মৃতের যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে তাঁর প্রত্যঙ্গ বের করে আনে সে। খুনের পর ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে পুণে চলে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও নারী নির্যাতনের একের পর এক ঘটনার সাক্ষ্মী থেকেছে মুম্বই। গত ১০ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীর রাতে ধর্ষণ ও নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। টেম্পোর মধ্যে ধর্ষণ করা হয় বছর ৩২-এর ওই মহিলাকে। যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচারও করা হয় তাঁর ওপর। মুম্বইয়ের রাজওয়াড়ি হাসপাতালে নির্যাতিতাকে ভর্তি করেছিল পুলিশ। সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যান চিকিৎসকরা। ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করে শারীরিক অবস্থা। ক্ষত থেকে সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। আর এক নির্ভয়ার মৃত্যুর সাক্ষী থাকে দেশ।

এই ঘটনার ক্ষেত্রেও রাগ মেটাতে খুনি নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে তার রাগের নিস্পত্তি করে। এই সকল ঘটনা মনে করিয়ে দেয় নির্ভয়া কাণ্ডের ইতিহাস। সেই ঘটনায় একজন বাদে অপরাধীদের সাজা হয়েছিল ফাঁসি। এখন প্রশ্ন এরপরও কি কোনও ভয় কাজ করে না?

অপরাধীর অপরাধের মনস্তত্ত্বের পর্যালোচনা করার পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই জানা গিয়েছে, ধর্ষণের মতো ঘটনায় নেপথ্যে থাকে ‘বিকৃত কাম’। সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার যেমন মনে করেন, মিডিয়ায় বাণিজ্যিক স্বার্থে মেয়ে ও পুরুষ উভয়ের যৌনতাকে খারাপভাবে উপস্থাপনা করাই এই সামাজিক ব্যাধির জন্য অনেকাংশে দায়ী।

আরও পড়ুন: Rape In India: ‘মেয়েরা সম্ভোগের বস্তু হয়েই থেকে যাবে’