Nagaland minister: মঞ্চেই ঘুম, ‘ছোট চোখে’র ভরপুর ফায়দা তোলে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারা! ভাইরাল নাগা মন্ত্রীর ভিডিয়ো

Nagaland minister Temjen Inma: উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের ছোট চোখ নিয়ে বাকি ভারতের বাসিন্দারা বিভিন্ন রসিকতা করে থাকেন। এবার, তাদের জব্বর জবাব দিলেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তেমজেন ইনমা অলং।

Nagaland minister: মঞ্চেই ঘুম, 'ছোট চোখে'র ভরপুর ফায়দা তোলে উত্তর-পূর্বের বাসিন্দারা! ভাইরাল নাগা মন্ত্রীর ভিডিয়ো
নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তেমজেন ইনমা অলং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 12:19 PM

কোহিমা: উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের ছোট চোখ নিয়ে বাকি ভারতের বাসিন্দারা বিভিন্ন রসিকতা করে থাকেন। এবার, তাদের জব্বর জবাব দিলেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তেমজেন ইনমা অলং। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের এই ‘ছোট চোখ’ থাকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাঁর ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। সেই তালিকায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও আছেন।

রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী তেমজেন ইনমা। শনিবার, এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তিনি বলেছেন, ‘উত্তর-পূর্বের লোকদের চোখ ছোট, কিন্তু তাদের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ।’ এরপরই তিনি রসিকতা করে জানান, চোখ ছোট হওয়ার কারণে, কোনও বড় অনুষ্ঠান চলাকালীন উত্তরপূর্বের বাসিন্দারা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। কেউ তা বুঝতেও পারে না। ইনমা বলেন, ‘আমার চোখ ছোট হওয়ায়, আমার চোখে ময়লা ঢুকতে পারে না। এছাড়া, যখন আমি মঞ্চে থাকি এবং কোনও দীর্ঘ অনুষ্ঠান চলে, তখন আমি সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারি।’

এক টুইটার ব্যবহারকারী টেমজেন ইনমার ওই বক্তব্যের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। আর তারপরই সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ, ইনমার রসবোধের প্রশংসা করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও ওই ভিডিয়ো টুইট করে বলেছেন, “পুরো ফর্মে আছে আমার ভাই টেমজেন ইনমা।’ প্রসঙ্গত, ২০২০-র জানুয়ারি থেকে বিজেপির নাগাল্যান্ডের রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন তেমজেন ইমনা অলং। ২০১৮ সালে বিজেপির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলেন তিনি। চতুর্থ নেইফিউ রিও মন্ত্রকে তাঁকে উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী করা হয়েছে।

নেটিজেনরা ইনমার ‘প্রেজেন্স অব মাইন্ড’ অর্থাৎ উপস্থিত বুদ্ধির দারুণ প্রশংসা করেছেন। প্রশংসা করা হয়েছে তাঁর রসবোধেরও। অনেকেই বলেছেন, এই রসিকতার মধ্য দিয়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের নিয়মিত যে বর্ণবিদ্বেষের সম্মুখীন হতে হয়, তার যোগ্য জবাব দিয়েছেন নাগা মন্ত্রী। এক নেটিজেন যেমন ইনমার ভিডিয়োটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হা হা হা… এভাবেই বর্ণবাদের মোকাবিলা করতে হয়, তেমজেন ইমনা অলং, আপনার জবাব নেই!’

নাগা মন্ত্রী নিজেও ভিডিয়োটি রিটুইট করেছেন। যে ব্যবহারকারী ভিডিয়োটি টুইট করেছেন, তাঁকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, এই ভিডিয়োর মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের কণ্ঠ বাকি ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের মঙ্গোলীয় চেহারার জন্য প্রায়শই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়। এমনকী, ভারতীয় হয়েও তাঁদেরকে ‘চিনা’, ‘নেপালি’র মতো সম্বোধন শুনতে হয়। এমনকি, মণিপুরের কিংবদন্তি বক্সার মেরি কম অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশে গিয়েও এই অস্বস্তির সামনে পড়তে হয়েছে তাঁকে। অনেক জায়গায় তাঁকে ভারতীয় বলে মানতেই চাওয়া হয়নি। চিনা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্য কোনও দেশের বাসিন্দা বলে মনে করা হয়েছে।