Narendra Giri: ‘মহিলার সঙ্গে ছবি ভাইরাল করা হতে পারে’, সুইসাইড নোটে কিসের ইঙ্গিত দিয়েছেন মহান্ত?

Narendra Giri Suicide Note: সোমবার সন্ধেয় ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উ্দ্ধার করা হয় অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রেসিডেন্ট মহন্ত নরেন্দ্র গিরির দেহ।

Narendra Giri: 'মহিলার সঙ্গে ছবি ভাইরাল করা হতে পারে', সুইসাইড নোটে কিসের ইঙ্গিত দিয়েছেন মহান্ত?
অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 6:33 AM

নয়া দিল্লি: আপাত দৃষ্টিতে নিছক আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনা বলে মনে হলেও অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (Akhil Bharatiya Akhada Parishad) প্রেসিডেন্ট মহান্ত নরেন্দ্র গিরির (Narendra Giri) ৭-৮ পাতার সুইসাইড নোট (Suicide Note) জন্ম দিচ্ছে একাধিক প্রশ্নের। ইতিমধ্যেই ওই চিঠিতে নাম থাকা তাঁর ভক্ত আনন্দ গিরিকে (Anand Giri) গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার এই আনন্দ গিরি দাবি করেছেন, তাঁর ও তাঁর গুরুজি তথা নরেন্দ্র গিরির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে কেউ বা কারা। জমি মাফিয়াদের কথাও তুলেছেন আনন্দ। তবে সুইসাইড নোটে মহিলা যোগের কথা উল্লেখ করে আরও এক রহস্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন নরেন্দ্র গিরি।

অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের লেটার হেড ব্যবহার করে লেখা হয়েছে সেই সুইসাইড নোট। সেখানে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, আনন্দ গিরির জন্যই তাঁর মনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বরেই তিনি নিজেকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু সাহস জোগাতে পারেননি। কিন্তু ২০ তারিখে এমন কী হল? নরেন্দ্র গিরি লিখেছেন, ‘আজ আমি খবর পেলাম ২-১ দিনের মধ্যেই আনন্দ গিরি আমার সঙ্গে এক মহিলার ছবি কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে ভাইরাল করে দিতে পারে।’ তাঁর দাবি, আনন্দ গিরি নাকি তাঁকে রীতিমতো ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

শুধু আনন্দ নয়, চিঠিতে মোট তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আনন্দ গিরি। আঢ্য তিওয়ারি ও সন্দীপ তিওয়ারি নামে দু’জনও রয়েছেন সেই তালিকায়। ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে আনন্দ গিরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত সোমবার প্রয়াগরাজের বাঘামবাড়ি মঠে নরেন্দ্র গিরির ঘর থেকে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনই পুলিশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে না। গোটা বিষয়টি আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে চাইছেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের আধিকারিকরা। ভারতের সন্ন্যাসী সমাজের অন্যতম বড় সংগঠন হল অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ। সেই সংগঠনের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলেন মহন্ত নরেন্দ্র গিরি। তাঁর এই রহস্যজনক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই সন্ন্যাসীকূলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তবে আনন্দ গিরির দাবি, নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুর পিছনে রয়েছে কোনও বড়সড় ছক। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উচ্চপদস্থ কয়েকজন পুলিশকর্তা, কিছু জমি মাফিয়া ও নরেন্দ্র গিরির পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তাঁর দাবি, ওই সব লোকজন ‘গুরুজি’র আশেপাশেই ঘুরে বেড়াতেন আর মহান্তকে বারবার মঠের জমি বিক্রি করার পরামর্শ দিতেন। তাঁর আরও দাবি, তাঁর নামটা সামনে আনাও এক প্রকারের ষড়যন্ত্রই।

আরও পড়ুন: Biden warns China : নতুন একটা ঠাণ্ডা লড়াই চাই না, নাম না করে বেজিংকে কড়া বার্তা বাইডেনের