Biden warns China : নতুন একটা ঠাণ্ডা লড়াই চাই না, নাম না করে বেজিংকে কড়া বার্তা বাইডেনের

Joe Biden: আমরা একটি নতুন ঠাণ্ডা লড়াই বা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত একটি বিশ্ব চাই না। চিনকে সতর্ক করে রাখলেন জো বাইডেন।

Biden warns China : নতুন একটা ঠাণ্ডা লড়াই চাই না, নাম না করে বেজিংকে কড়া বার্তা বাইডেনের
বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন জো বাইডেন (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2021 | 10:54 PM

ওয়াশিংটন : নতুন করে আবার একটা ঠাণ্ডা লড়াই (Cold War) চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় আজ এমনটাই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিশানায় ছিল চিন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রথমবারের জন্য ভাষণ দেন জো বাইডেন। আর প্রথম ভাষণেই চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি।

আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশে জো বাইডেন বলেন, “অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে তীব্র মতোবিরোধ থাকলেও, যদি কোনও দেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা চিন্তাভাবনা করে, তাঁদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।” সরাসরি চিনের কথা উল্লেখ না করলেও, বাইডেন দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়ে উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন, “আমরা একটি নতুন ঠাণ্ডা লড়াই বা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত একটি বিশ্ব চাই না।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রায় দুই দশকের আফগানিস্তান অভিযান শেষ করে কাবুল থেকে বিদায় নিয়েছে মার্কিন সেনা। আর মার্কিন সেনা সেখান থেকে বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে চিন।

প্রথম থেকেই তালিবানের প্রতি সমর্থন প্রকট হয়েছে চিনের। তা বোঝাতে সরাসরি আমেরিকাকে কটাক্ষ করতেই ছাড়েনি বেজিং। আফগানিস্তানের মাটিতে পরিত্যক্ত মার্কিন সেনার কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরঞ্জামকে পতন হওয়া সাম্রাজ্যের কবরস্থান বলে উল্লেখ করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও। আমেরিকাকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, ‘সাম্রাজ্যের কবরস্থল ও তাদের যুদ্ধাস্ত্র। তালিবান তাদের বিমানকে দোলনা আর খেলনায় পরিণত করেছে।’

চিন আগেই তালিবানকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। প্রায় সব দেশই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের থেকে তখন চিনকে পাশে পেয়ে খুশি তালিবান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য করতে বা বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। প্রত্যাশিতভাবেই, এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে তাদের ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসেছে চিন। সেই কথা স্বীকার করেছে তালিবান নিজেই। তালিবানের পক্ষ থেকে চিনকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার’ (অংশীদার) হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আর চিনের এই ধরনের কাজ মোটেই ভাল ভাবে দেখছেন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরই আচমকা তালিবানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানো নিয়ে চিনকে সম্প্রতি কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত চিন তালিবানের সঙ্গে কোনও প্রকার সমঝোতা করতে চাইবেই।” তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি বলেন, “তালিবানের সঙ্গে সত্যিই সমস্যা রয়েছে চিনের। তাই ওরা তালিবানের সঙ্গে কোনও প্রকার সমঝোতায় আসার চেষ্টা করবেই, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। একইভাবে পাকিস্তান ও রাশিয়াও চেষ্টা চালাবে। ওরা সকলেই কী করা উচিত, তা বোঝার চেষ্টা করছে।”

আরও পড়ুন : ‘তালিবানের সঙ্গে হাত মেলাতেই চাইবে চিন’, জোবাইডেনের কটাক্ষের মধ্যেই লুকিয়ে গোপন স্বার্থের ইঙ্গিত