Navjot Singh Sidhu: সুপ্রিম রায়ের পরই ‘অসুস্থ’ সিধু, আত্মসমর্পণের জন্য চাইলেন সময়
Navjot Singh Sidhu: সিধুর আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করে বিরোধী পক্ষের আইনজীবী বলেন,"৩৪ বছর পার হয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে অপরাধ লঘু বা মাফ হয়ে যায়। এত বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে, এখন ওনারা ফের তিন-চার সপ্তাহ সময় চাইছেন।"
চণ্ডীগঢ়: কথা ছিল আজই আত্মসমর্পণ করবেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তেই বেঁকে বসলেন সিধু। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য সময় চাইলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)। শুক্রবার সকালেই সিধুর তরফে হাজির আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি এই আবেদন জানাতেই বিচারপতি এএম খানউইলকর জানান, আত্মসমর্পণের জন্য অতিরিক্ত সময় চাইতে তাঁরা যেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রামনা(NV Ramana)-র সঙ্গে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট ৩৪ বছর পুরনো একটি মামলায় নভজ্য়োৎ সিং সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। রায় ঘোষণার পর গতকালই নভজ্যোৎ সিং সিধু টুইট করে জানান যে তিনি আইনের কাছে নিজেকে সমর্পণ করবেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, আজই পাতিয়ালা আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করতে পারেন।
তবে এ দিন সকালেই তাঁর আইনজীবী জানান যে, সিধু অসুস্থ। তাঁকে আত্মসমর্পণের জন্য আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “আমি বলছি যে উনি আত্মসমর্পণ করবেন। আপনারা এই অনুরোধকে বিবেচনা করুন।”
সিধুর আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করে বিরোধী পক্ষের আইনজীবী বলেন,”৩৪ বছর পার হয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে অপরাধ লঘু বা মাফ হয়ে যায়। এত বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে, এখন ওনারা ফের তিন-চার সপ্তাহ সময় চাইছেন।”
দুই পক্ষের দাবি শোনার পরই বিচারপতি খানউইলকর বলেন, “নিয়ম মেনে আর্জি জমা দিন। আর্জি জমা দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি জানান।”
১৯৮৮ সালে এক ব্য়ক্তিকে অনিচ্ছাকৃতভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে নভজ্যোৎ সিং সিধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছিল, গুরনাম সিং নামক ওই ব্যক্তির সঙ্গে গাড়ি রাখা নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধুর বচসা হয়। বচসার সময়ই নভজ্যোৎ সিং সিধু, গুরনাম সিংয়ের মাথায় আঘাত করেছিলেন। কয়েকদিন পরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপরই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার।
উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ১৯৯৯ সালে পাতিয়ালা ট্রায়াল কোর্ট হত্যার অভিযোগ থেকে সিধুকে মুক্তি দেন। কিন্তু ২০০৬ সালে অভিযুক্তের পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে, সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই সময় তাঁদের তিন বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান নভজ্যোৎ সিং সিধু। দীর্ঘ ৩৪ বছর মামলা চলার পর গতকাল এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় এবং সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।