NCB drug raid: বাজেয়াপ্ত হাজার হাজার কোটি টাকার এলএসডি, এনসিবি-র জালে ‘ডার্ক ওয়েবে’র মাদক চক্র

NCB's biggest-ever drug raid: মাদকবিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য এনসিবির। হাজার হাজার কোটি টাকা মূল্যের ১৫০০০ ব্লট এলসিডি বাজেয়াপ্ত।

NCB drug raid: বাজেয়াপ্ত হাজার হাজার কোটি টাকার এলএসডি, এনসিবি-র জালে 'ডার্ক ওয়েবে'র মাদক চক্র
মাদক বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য এনসিবির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2023 | 4:12 PM

নয়া দিল্লি: মাদকবিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য পেল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি (NCB)। মঙ্গলবার (৬ জুন) তারা জানিয়েছে, এই অভিযানে হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ অনুসারে, এটাই এনসিবির সবথেকে বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ১৫,০০০টিরও বেশি এলএসডি বা লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথাইলামাইডের ‘ব্লট’ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিবি। মাদক বিরোধী সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ডার্ক ওয়েব’-এর মাধ্যমে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে গোটা দেশ জুড়ে এই মাদকটক্রের কর্মকাণ্ড চলছিল। তবে শুধু ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই নয়, এই বিরাট মাদক চক্রের জাল পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিবির এক কর্তা। এই মামলায় এখনওপর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই চক্রের সম্পর্কে জানতে পারেন এনসিবির কর্তারা।

এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত এটাই এটাই এনসিবির সবথেকে বড় একক অভিযানে এলএসডি ব্লট বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা। মাদক চক্রটি ‘ডার্ক নেট’ ব্যবহার করে লেনদেন করত। চক্রটি ভার্চুয়াবল মাধ্যমে চলত এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চলত। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সামন-সামনি কোনও যোগাযোগ ছিল না।” এর আগে ২০২১ সালে কর্নাটক পুলিশ এবং পরের বছর এনসিবির কলকাতা অফিসের পক্ষ থেকে ৫,০০০ ব্লট করে এলএসডি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এতদিন পর্যন্ত সেটাই ছিল ভারতে একক অভিযানে বাজেয়াপ্ত হওয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ এলএসডি। চলতি অভিযানে তার তিনগুণ বেশি এলএসডি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইন্টারনেটের গোপন অংশ যেখানে অবৈধ পণ্য কেনাবেচা, নিষিদ্ধ সামগ্রী বিনিময় করা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে, তাকে ‘ডার্ক ওয়েব’ বা ‘ডার্ক নেট’ বলে। এনসিবির দাবি অনুযায়ী, ইন্টারনেটের এই গোপন স্থানেই চলত এই বিপুল মাদক কেনাবেচার কারবার।

এলএসডি বা লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথাইলামাইড হল হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ বিভাগের অন্তর্গত একটি সিন্থেটিক রাসায়নিক মাদক। ভারতে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ০.১ গ্রাম পর্যন্ত এলএসডি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কারও কছে যদি এর বেশি পরিমাণ এই সিন্থেটিক হ্যালুসিনোজেনিক মাদক পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট’ বা এনডিপিএস (ndps) আইনের ধারায় মামলা করতে পারে এনসিবি।

গত মাসে, ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে একটি যৌথ অভিযানে কেরল উপকূলে একটি নৌকা থেকে ২৫,০০০ কোটি টাকা মূল্যের ২,৫২৫ কেজি মেথামফেটামিন বাজেয়াপ্ত করেছিল। পাকিস্তান থেকে ইরানের চাবাহার বন্দর হয়ে ওই মাদক ভারতে আনা হচ্ছিল। সেই সময় এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশনস), সঞ্জয় কুমার সিং জানিয়েছিলেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের আর্থিক মূল্য অনুযায়ী, সেটা ছিল এনসিবির সবথেকে বড় অভিযান। এদিনের অভিযান, সেই সাফল্যকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।