COVID Hospitalisation: করোনার নতুন প্রজাতি বাড়াতে পারে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা, চরম সতর্কবার্তা WHO-র
Coronavirus New Variant: কেরলে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত কমিউনিটির মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান রাজীব জয়দেবন। তিনি জানিয়েছেন, কোচিতে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থদের পরীক্ষা করতেই দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
নয়াদিল্লি: ভারতে ফের বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি জেএন.১-এ আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। করোনাভাইরাসের এই নতুন উপপ্রজাতি নতুন করে প্রচুর মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে বলে আশঙ্ক করা হচ্ছে। কেরলে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৬৬৯। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তির হওয়া বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
কেরলে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত কমিউনিটির মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান রাজীব জয়দেবন। তিনি জানিয়েছেন, কোচিতে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থদের পরীক্ষা করতেই দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করা পরীক্ষায় এই ধরনের রিপোর্ট এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি আক্রান্তদের প্রতিবেশী এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। যার জেরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আশঙ্কা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা হল কোভিড সংক্রমণকে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বলে ভুল করা। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, অনেকেই সাধারণ ঠান্ডা ভেবে কোভিডকে অবহেলা করছেন। কিন্তু শরীরে অন্য রোগ থাকলে কোভিড ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। এমনকি কোভিড হয়ে হৃদরোগ সহ একাধিক শারীরিক সমস্যাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশের কোভিড পরিস্থিতির উদাহরণ তুলে এ বিষয়ে রাজীব বলেছেন, “নভেম্বরের আগে অবধি ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরনের অসুস্থতার এক শতাংশ কোভিড আক্রান্ত ছিল। অনেক সময় তা প্রায় শূন্যের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষ থেকে তা বদলেছে। ডিসেম্বরে ওই ধরনের অসুস্থদের মধ্যে ৯ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত। তথ্য বলছে, কেরলের কোচিতে এর জেরে অনেককে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে।”
ওমিক্রনের এই নতুন উপপ্রজাতি ওমিক্রনের মতোই কম ভয়ঙ্কর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই উপপ্রজাতি দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এর জেরে এক লপ্তে অনেক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখার কথা বলেছেন স্বামীনাথন। সেখানে অক্সিজেন-সহ অন্যান্য ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তবে কোভিড টিকা কাজ করছে বলেও মনে করেন হু-এর বিজ্ঞানী। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “কোভিড টিকা কাজ করছে। কিন্তু যাঁদের শরীরের অন্য রোগ আছে, বয়স্ক মানুষ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদেরকে টিকা সবক্ষেত্রে সুরক্ষা নাও দিতে পারে।”