Antrix Devas Row : ‘প্রাইভেট পার্টি থেকে টাকা উপার্জন কংগ্রেসের কাজ’ দেভাস নিয়ে সুপ্রিম রায়ের পর ইউপিএ সরকারকে খোঁচা অর্থমন্ত্রীর
Nirmala Sitharaman : আজ নির্মলা সীতারমন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি দেভাস ইস্য়ু নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।
নয়া দিল্লি : গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি দেবাস মাল্টিমিডিয়া নিয়ে আলোচনা করেন এই বৈঠকে। অ্যান্ট্রিক্স দেবাস নিয়ে তিনি ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করেন এই সাংবাদিক বৈঠকে।
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তিনি বলেন, “অ্যান্ট্রিক্স-দেভাসের বিষয়ে আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইব। দেভাস-অ্যান্ট্রিক্স বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কথা বলতে চাই। ২০১১ সালে ইউপিএ সরকার এই চুক্তি খারিজ করে দিয়েছিল। এটি একটি প্রতারণামূলক চুক্তি ছিল।” তিনি বলেছেন, অ্যানট্রিক্স দেভাস ইস্যুতে এনসিএলটি (NCLT) এবং এনসিএলএটি (NCLAT)এর নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি জানান, অ্যাপেক্স কোর্টও দেভাসের উপর একই নির্দেশ জারি রেখেছিল। তিনি কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে এই বৈঠকে বলেছেন, “তরঙ্গদৈর্ঘ্য, স্যাটেলাইট বা স্পেকট্রাম ব্যান্ডের মতো প্রাথমিক সম্পত্তি বিক্রি করা, প্রাইভেট পার্টিকে দেওয়া এবং প্রাইভেট পার্টি থেকে অর্থ উপার্জন করা কংগ্রেস সরকারের বৈশিষ্ট্য।” তিনি জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে অ্যান্ট্রিক্স এবং দেভাসের মধ্যে এই চুক্তি ভারতীয় জনগণ এবং এই দেশের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে অ্যান্ট্রিক্স-দেভাস চুক্তিতে জাতীয় সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত S-ব্যান্ড স্পেকট্রাম দিয়ে দেওয়াকে তী্ব্র ভর্ৎসনা করেছেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
কী এই দেভাস মাল্টিমিডিয়া মামলা?
উল্লেখ্য, সোমবারই দেভাস মাল্টিমিডিয়া মামলার রায়দান করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলে, “এটা বড় জালিয়াতির একটা মামলা এবং কার্পেটের তলায় তা লুকিয়ে রাখা যাবে না।” দেবাসের দায়ের করা এক মামলাটি নাকচ করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও ভি রামাসুব্রামানিয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, NCLT এবং NCLAT ইতিমধ্যে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জোগাড় কড়েছে।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ এদিন বলে, “যদি অ্যান্ট্রিক্স এবং দেভাসের ব্যবসায়িক সম্পর্কের বীজ বপণ করা হয়েছিল দেভাসের মিথ্যের মাধ্যমে। মিথ্যের বীজ থেকে গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিষ রয়েছে। প্রতি চুক্তি, বিবাদ সব কিছুই বিষাক্ত। ভারতের মতো যেকোনো দেশেই এই জালিয়াতির ফল গ্রহণযোগ্য নয়। সততা ও ন্যায়ের মৌলিক ধারণার বিপরীতমুখী যেকোনো জালিয়াতি।”
এদিন আদালত জানায়, তাঁরা জানেন না যে ইসরোর ব্যবসায়িক শাখা অ্যান্ট্রিক্স এর দাবি অনুযায়ী দেভাসকে উইন্ড আপ করলে তা বিনিয়োগকারীদের ভুল বার্তা পাঠানো হবে কি না। তবে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে জালিয়াতি থেকে জন্ম নেওয়া কোনো সম্পর্কের সুফল পেতে থাকতে পারেন না বিনিয়োগকারী বা দেবাস।