মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মোদীর মন্ত্রিসভার কনিষ্ঠতম সদস্য হলেন নিশীথ প্রামাণিক
ভারতের ইতিহাসে প্রথম এত ‘তরুণ’ মন্ত্রিসভা তৈরি করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকা নেতাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: মোদীর এবারের মন্ত্রিসভা সাজানো হয়েছে তরুণ মুখ দিয়ে। দেশের ইতিহাসে তরুণতম মন্ত্রিসভা তৈরির নজির গড়েছে মোদী সরকার। আর সেই সভায় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে জায়গা পেলেন বাংলার সাংস নিশীথ প্রামাণিক। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। শুধু নিশীথ নন, বাংলার শান্তনু ঠাকুর কিংবা আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল সহ মোট ১৪ জন মন্ত্রীর বয়স ৫০-এর নীচে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হন নিশীথ। কোচবিহার থেকে তিনিই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি দিনহাটা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পরও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। এরপরই তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দেওয়া হল। নিশীথের ঝুলিতে রয়েছে বিসিএ ডিগ্রি। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে নিশীথ ছিলেন কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ি-১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। পরে যুব তৃণমূলের মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। কার্যত এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিতি হয় তাঁর। সেই নিশীথ প্রামাণিকই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। পরে বিজেপির টিকিটে সাংসদ হন। রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরের রাজবংশীদের মন জয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’, লিখেও মন্তব্য প্রত্যাহার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের! কেন?
শুধু কম বয়সী মন্ত্রীই নয়, আরও কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছে মোদী সরকার। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন ওবিসি, সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। ১১ মহিলাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। অনেকের নামের পাশেই পিএইচডি, এমবিএ বা মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে। মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি রাজ্য তথা এলাকাকে। আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই মন্ত্রিসভা সাজানো হয়েছে। বাংলা থেকে নিশীথ ছাড়াও জায়গা পেয়েছেন তিনজন, সুভাষ সরকার, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুর।