শিশুদের ভ্যাকসিন দিলে তবেই খোলা হবে স্কুল? কী বলছে কেন্দ্র?

Vaccinating children: ড. ভিকে পাল জানিয়েছেন, শিশুদের না দেওয়া হলেও শিক্ষক-শিক্ষিকা বা স্কুলের অন্যান্য কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি।

শিশুদের ভ্যাকসিন দিলে তবেই খোলা হবে স্কুল? কী বলছে কেন্দ্র?
কবে থেকে শুরু হবে শিশুদের টিকাকরণ? ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 6:34 PM

নয়া দিল্লি: করোনা অতিমারির (Pandamic) জেরে গত বছর থেকেই প্রায় একটানা বন্ধ স্কুল-কলেজ। অনলাইনে পড়াশোনা চললেও অনেক ক্ষেত্রেই সেই পড়াশোনায় অংশ নিতে পারছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারা। তাই, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল খোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে স্কুল খোলার আগে কি শিশু বা কিশোরদের ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া জরুরি? বৃহস্পতিবার সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভিকে পাল। তিনি জানিয়েছেন, শিশুদের টিকাকরণ হয়েছে কি না, তা দেখে কখনও স্কুল খোলা হয় না। বিশ্বের কোথাও এই নীতি নেই।

আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েড. ভিকে পাল বলেন, ‘স্কুল খোলার জন্য টিকাকরণ মাপকাঠি হিসেবে গণ্য হয় না। কোনও বিশেষজ্ঞই এই প্রক্রিয়াই স্কুল খোলার কথা বলছেন না।’ তাঁর কথায়, বিশ্বের কোথাও এই নিয়ম চালু নেই। সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, শিশুদের ভ্যাকসিন না দেওয়া হলেও শিক্ষক, শিক্ষিকা বা স্কুলের অন্যান্য কর্মীদের টিকা দেওয়া জরুরি। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ভি কে পাল জানান, এখনও দেশে এমন ৩৫টি জেলা আছে, যেখানে করোনার সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ। এ ছাড়াও ৩০টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও শুরু হয়েছে স্কুল খোলার তোড়জোড়। দুর্গা পুজোর পরই স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। একাধিকবার বিষয়টি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এ বার রাজ্য সরকারের তরফে পদক্ষেপও করা শুরু হয়েছে। স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। স্কুলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বছর সময় ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে ক্লাসরুমগুলি। তাই স্কুল খোলার আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাইছে বিকাশ ভবন। সে সব দেখেই তবেই খোলা হবে স্কুল।

তবে এখনও দেশে শিশুদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বিশ্বের কয়েকটি দেশেই মাত্র শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। যেহেতু তৃতীয় ঢেউ এলে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে তাই আগে  থেকেই জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে টিকার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন তিনি। জা়ইডাস ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তারা বর্তমানে জরুরি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও অগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, ফাইজ়ারের ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। তাই খুব শীঘ্রই শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ‘তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে’, বিপদ এড়াতে উৎসবের মরশুমে বাড়িতেই থাকার অনুরোধ মেয়রের