রামচন্দ্রের হাতেই দলের দায়িত্ব সঁপলেন কোণঠাসা নীতীশ
জেডিইউর নতুন সভাপতির নাম আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন নীতীশ। আজ শুধু ঘোষণাটুকুই হল। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পটনা: জনতা দল ইউনাইটেডের সভাপতিত্ব ছাড়লেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। নতুন সভাপতি হলেন আরসিপি সিং। দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত রামচন্দ্রপ্রসাদ সিংয়ের হাতে সব দায়িত্ব তুলে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক দিন আগেই অরুণাচলে বড় ধাক্বা খেয়েছে জেডিইউ। তাদের ৭ জনের মধ্যে ৬ জন বিধায়কই পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এমতাবস্থায় জেডিইউর নতুন সভাপতির নাম আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন নীতীশ। আজ শুধু ঘোষণাটুকুই হল। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিহার নির্বাচনে জেডিইউর থেকে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। সে রাজ্যে এনডিএ জোটে কিছুটা হলেও কোণঠাসা নীতীশের দল। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি থেকেই। এই পরিস্থিতিতে আরসিপি সিংয়ের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিয়ে শরিক রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে গেলেন নীতীশ। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
বিহারের নির্বাচনে নীতীশের বিরুদ্ধে চিরাগ পাসোয়ানের পাল্টিতে বিজেপি যোগের প্রসঙ্গ তোলে ওয়াকিবহাল মহল। তাই জোটভিত্তিক রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেই কি এই পরিবর্তন! এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: রাহুলই বলছেন কর্পোরেটদের কাছে ফসল বিক্রি করলে বেশি লাভ কৃষকদেরই!
দীর্ঘদিন ধরে জেডিইউর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আরসিপি সিং। সেক্ষেত্রে কৌশলগত রাজনীতিতে বেশ পারদর্শী নীতীশের আস্থাভাজন রামচন্দ্রপ্রসাদ। ২০০৫ সালে নীতীশ যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, তখন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন আরসিপি। ২০১০ সালে রামচন্দ্রপ্রসাদকে রাজ্যসভায় মনোনীত করে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন নীতীশ। তারপর থেকে দিল্লি সামলেছেন তিনি। জেডিইউর এনডিএতে ফেরত আসাতেও হাত ছিল রামচন্দ্রের। তাই সভাপতি পরিবর্তনে ক্ষতি হবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।