দূষণ রুখতে ক্রিসমাস ও নববর্ষে আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা ৪ রাজ্যে

দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে আর্থিক জরিমানা ও নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

দূষণ রুখতে ক্রিসমাস ও নববর্ষে আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা ৪ রাজ্যে
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 24, 2020 | 3:32 PM

নয়া দিল্লি: রাজধানীতে শ্বাস নেওয়া দায়! প্রতিদিন খারাপ থেকে আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছছে দিল্লির বাতাসের গুণমান। এরই মাঝে ক্রিসমাস (christmas), ইংরেজি বর্ষবরণে (new year) শব্দবাজির তাণ্ডবে সেই দূষণের পরিমাণ যে আরও বাড়বে, তা বলার প্রয়োজন রাখে না। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (Central Pollution Control Board) বুধবার দিল্লিসহ মোট চারটি রাজ্যকে আতসবাজি (Firecrackers) কেনাবেচা ও ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি ও সেই নির্দেশিকা বজায় রাখার নির্দেশ দিল।

সিপিসিবি (CPCB)-র চেয়ারম্যান শিব দাস মীনা নির্দেশিকায় জানান, উৎসবের দিনগুলিতে দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা (Haryana), উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও রাজস্থানে (Rajasthan) যেন কোনও প্রকার আতশবাজির ব্যবহার না করা হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি আগামী ২ জানুয়ারি অবধি যাবতীয় পাথর ভাঙার মেশিন (stone crushers) ও হট মিক্স প্ল্যান্ট (Hot Mix Plant) গুলিকেও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড।

নির্দেশিকায় বলা হয়, “ক্রিসমাস ও নববর্ষ উদযাপনের সময় মানুষের গতিবিধি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বিবেচনা করেই দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নিশ্চিত করতে হবে যে পাথর ভাঙার মেশিন ও হট মিক্সার প্ল্যান্টগুলি যেন ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি অবধি বন্ধ থাকে। এছাড়াও যন্ত্রচালিত পদ্ধতিতে রাস্তা পরিস্কার ও জল ছিটানোর পরিমাণ বাড়াতে হবে, বিশেষ করে যে রাস্তাগুলিতে ধুলিকণার পরিমাণ বেশি। আতশবাজি বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে আদালত ও জাতীয় গ্রীন ট্রাইবুনালের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এবং অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করতে হবে।”

আরও পড়ুন: উত্তপ্ত উপত্যকা, সকাল থেকে এনকাউন্টার শুরু বারামুল্লায়

দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে আর্থিক জরিমানা ও নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

বর্তমানে দিল্লির বায়ুর গুণমানের পরিমাণ ‘গুরুতর’ (Severe) পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল গতমাসেই নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, দিল্লিতে যে সমস্ত এলাকায় বাতাসের গুণমান ‘খারাপ'(Poor) বা তার থেকেও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না। যে এলাকাগুলিতে বাতাসের গুণমান ‘সহনশীল’ (Moderate) বা তার কম পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষের দিন রাত ১১টা ৫৫ থেকে সাড়ে ১২টা অবধি গ্রিন আতশবাজি পোড়ানো যাবে।

আরও পড়ুন: মাঝপথে আটক প্রিয়াঙ্কা, রাহুল গেলেন রাষ্ট্রপতির কাছে, বললেন ‘দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই’