Physical Assault: সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাত-পা-মুখ বেঁধে গণধর্ষণ নার্সকে, গ্রেফতার নাবালক সহ ৩
Chhattisgarh Physical Assault Case: ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই ওই নার্স তাঁর পরিবারকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। পরে পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়।
ভোপাল: শিকেয় নিরাপত্তা। সরকারি স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকেই নার্সের উপর চলল পাশবিক অত্যাচার। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করা হল নার্সকে। চার ব্যক্তি মিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্সকে গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। যে চারজন অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন নাবালক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৭ বছরের কিশোর সহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের মহেন্দ্রগড় জেলায় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ আচমকা চার ব্যক্তি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে আসেন এবং তাঁর হাত-পা বেঁধে দেয়। তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তার জন্য মুখে কাপড়ও গুঁজে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর পালা করে তারা ধর্ষণ করে। পাশবিক অত্যাচার করা হয় ওই নার্সের উপরে। ঘটনার সময়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অপর কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি এখনও।
ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই ওই নার্স তাঁর পরিবারকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। পরে পুলিশেও অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, এই গণধর্ষণের ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। স্বাস্থ্যকর্মীরাও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ডিউটি করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক, এই দাবিই জানিয়েছেন তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে, তারা কর্মবিরতি ঘোষণা করবেন বলেই জানান।