‘বহু মানুষ চাকরির অপেক্ষায়’, OBC মামলায় হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে ‘সুপ্রিম’ দরবারে রাজ্য
West Bengal Government in Supreme Court: এই মামলায় রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। কপিল সিবাল জানান, বহু মানুষ শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
নয়া দিল্লি: ওবিসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাতে মান্যতা দেয়নি হাইকোর্ট। বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৫ লক্ষ শংসাপত্রের। এবার হাইকোর্টের সেই রায়েই স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
এই মামলায় রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। কপিল সিবাল জানান, বহু মানুষ শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়় জানান, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট) এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যের তরফে উপস্থিত আরেক আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন যে এই মামলাটিকে যেন প্রাধান্য দেওয়া হয়, শীর্ষ আদালতে বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই শুনানি রাখা হয়, কারণ এই শুনানি হতে দিনভর সময় লাগবে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
এর আগে , গত ৫ অগস্ট শীর্ষ আদালতের তরফে স্পেশাল লিভ পিটিশন জারি করে রাজ্যের কাছে ওবিসি শংসাাপত্র বন্টন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৭৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করার জন্য কী সমীক্ষা করা হয়েছিল, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কমিশনের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ২০১০ সালের পর ইস্যু করা প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। যথাযথ সমীক্ষা ও তথ্য ছাড়াই এই সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। তবে যারা আগেই এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এই রায়ে তাদের উপরে প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছিল হাইকোর্ট।