Bihar Viral Video: মর্গে ‘ঘুমিয়ে’ একমাত্র ছেলে, দেহ ছাড়াতে চাই ৫০ হাজার টাকা ‘ঘুষ’, গামছা পেতে ভিক্ষা বৃদ্ধ দম্পতি

Bihar Viral Video: সমস্তিপুরেরই বাসিন্দা মহেশ ঠাকুর। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়েই কোনওমতে কষ্ট সাধ্যে সংসার চলে যেত তাদের। আচমকাই একদিন উধাও হয়ে যায় তাঁর ছেলে। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।

Bihar Viral Video: মর্গে 'ঘুমিয়ে' একমাত্র ছেলে, দেহ ছাড়াতে চাই ৫০ হাজার টাকা 'ঘুষ', গামছা পেতে ভিক্ষা বৃদ্ধ দম্পতি
ছেলের দেহ ছাড়াতে ভিক্ষা চাইছেন ওই দম্পতি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 12:35 PM

পটনা: দরজায় দরজায় ঘুরছেন বৃদ্ধ দম্পতি। যাঁকেই দেখছেন, তাঁর কাছেই হাত পাতছেন। কখনও বা ভিক্ষে নেওয়ার জন্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন শাড়ির আঁচল। টাকার যে খুব প্রয়োজন তাঁদের। কারণ, সম্প্রতিই খুইয়েছেন একমাত্র ছেলেকে। তাঁকে শেষ দেখাটুকুও দেখতে পাচ্ছেন না টাকার অভাবে। হাসপাতাল থেকে ছেলের দেহ ছাড়িয়ে আনার জন্য প্রয়োজন ৫০ হাজার টাকা। এত টাকা না থাকায়, বাধ্য হয়েই সকলের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাঁদের। হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটিই ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুরে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই দম্পতির ভিডিয়ো।

সমস্তিপুরেরই বাসিন্দা মহেশ ঠাকুর। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়েই কোনওমতে কষ্ট সাধ্যে সংসার চলে যেত তাদের। আচমকাই একদিন উধাও হয়ে যায় তাঁর ছেলে। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। পরে হঠাৎ একটি ফোন আসে, জানানো হয় সমস্তিপুর সদর হাসপাতালে তাঁর ছেলের দেহ রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে যেতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা মোটা টাকা দাবি করে বসেন। সাফ জানিয়ে দেন, ওই টাকা না দিলে দেহ মর্গ থেকে ছাড়া হবে না। বাধ্য হয়েই টাকা সংগ্রহ করতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি।

মহেশ ঠাকুর নিজে বলেন, “কিছুদিন আগে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে আমাদের কাছে ফোন আসে যে ছেলের দেহ সমস্তিপুরের সদর হাসপাতালে রাখা রয়েছে। সেখানে যেতেই হাসপাতালের এক কর্মী ৫০ হাজার টাকা চান ছেলের দেহ মর্গ থেকে ছাড়ানোর জন্য। আমরা গরিব মানুষ, কীভাবে এত টাকা দেব আমরা?”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ কর্মীই চুক্তিভিত্তিক। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা বেতনও পান না। সেই কারণেই রোগী পরিবারের উপরই তোলাবাজি চালায় হাসপাতালের কর্মীরা। এর আগেও একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি জানতে পেরেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। সমস্তিপুর জেলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডঃ এসকে চৌধুরী বলেন, “গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। এটা মানবতার কাছে লজ্জার বিষয়। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে।”