ভিডিয়ো: ‘পালাতে পারলে বাঁচি’, করোনা পরীক্ষা এড়াতে হুড়মুড়িয়ে দৌড় রেলযাত্রীদের

মুম্বই, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া। সেখান থেকে হাজারো পরিযায়ী ঘরে ফিরছেন

ভিডিয়ো: 'পালাতে পারলে বাঁচি', করোনা পরীক্ষা এড়াতে হুড়মুড়িয়ে দৌড় রেলযাত্রীদের
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 17, 2021 | 10:55 AM

বক্সার: দিল্লি, মুম্বই, পুণেতে করোনা হু হু করে বাড়ছে। একাধিক শহরে জারি হয়েছে কার্ফু। এমতাবস্থায় ফের ঘরমুখো পরিযায়ীরা। বিহারে রোজ ‘উৎসবে মতো’ যাত্রীরা আসছেন। তাই ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ীদের স্টেশনে করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু স্টেশনে যেন করোনা নয় করোনা পরীক্ষা থেকে পালিয়ে বাঁচার ধুম লেগেছে। কোনও ভাবে করোনা পরীক্ষা এড়াতে পারলে হয়।

বক্সার স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে দৌড়চ্ছেন সকলে। বাচ্চা, বয়স্ক কেউ কম যান না, সকলে ছুটছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা পরীক্ষা করার কথা বললে চোখে-মুখে রাগ। বক্সারের সিভিক কাউন্সিলর জয় তিওয়ারি বলেন, “আমরা তাঁদের আটকালে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেন রেলযাত্রীরা। স্টেশনে কোনও পুলিশও ছিল না। পরে এক মহিলা পুলিশকর্মী এসে বলেন তাঁর কিছু করার ছিল না, তিনি একা ছিলেন।”

মুম্বই, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আকাশছোঁয়া। সেখান থেকে হাজারো পরিযায়ী ঘরে ফিরছেন। করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় বাড়ছে করনোর দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা। গত বছর মার্চ মাসে লকডাউন জারি হওয়ার পর চরম বিপদের সামনে পড়েছিলেন পরিযায়ীরা। গণপরিবরহণ না থাকায় হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। রুটি-চিনি খেয়ে অমানবিক ভাবে হেঁটে পথ অতিক্রম করতে গিয়ে প্রাণহানিও হয়েছিল অনেকের। গত বছরের সেই স্মৃতি এ বারেও ফিরে এসেছে মহারাষ্ট্রে কার্ফু জারি হওয়ার পর। উদ্ধব ঠাকরে কার্ফু জারি করার পর কোনওক্রমে বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পরিযায়ীরা।

একাধিক স্টেশনে লম্বা লাইন আর স্রেফ কালো মাথার ভিড়। তবে যাঁরা বাড়ি ফিরছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা না হতে পারায় ফের মাথাচাড় দিয়ে উঠছে দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা। দেশে এমনিতেই রোজ রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। এটিই এখনও অবধি একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৪১ জনের। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৬০৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার ২২০ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪০।

আরও পড়ুন: লোডিংয়ে সমস্যা, আপনার টুইটার কাজ করছে কি না দেখে নিন