Live-in Partner: বাথরুমে টেনে নিয়ে যান লিভ-ইন সঙ্গিনীকে, পরিকল্পনা ছিল… অবলীলায় সবটা বলেও দিলেন যুবক

Outer Delhi: ভালসার একটি প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় কাজ করেন বিজয় রাম। এক হাসপাতালে সহায়িকার কাজ করতেন সন্তোষী। শনিবার তখন রাত ৯টা। হঠাৎই থানায় গিয়ে হাজির হন বিজয় রাম।

Live-in Partner: বাথরুমে টেনে নিয়ে যান লিভ-ইন সঙ্গিনীকে, পরিকল্পনা ছিল… অবলীলায় সবটা বলেও দিলেন যুবক
ভয়ঙ্কর কাণ্ড দিল্লিতে। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 12:09 AM

নয়া দিল্লি: বিয়ে হয়েছিল তরুণীর। চার সন্তান। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আলাদা হয়ে যান। নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তরুণী। তবে কাছছাড়া করতে চাননি সন্তানদের। এরইমধ্যে নতুন এক যুবক তাঁর জীবনে আসে। ঠিক করেন, বিয়ে নয়, এবার লিভ-ইন করবেন। তিন, চার বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কেই ছিলেন। দু’ বছরের একটি মেয়েও আছে। এরইমধ্যে হঠাৎ আগের ছেলে মেয়ে নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা লাগে। ক্রমেই তা গুরুতর হয়ে ওঠে। ঝামেলার চোটে সঙ্গীর হাতে খুন হয়ে যান ওই তরুণী সন্তোষী দেবী। শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি দিল্লির ভালসার। অভিযুক্ত যুবকের নাম বিজয় রাম (৩৮)। ওই তরুণীকে খুন করার বিষয়টি বিজয় নিজেই পুলিশকে জানান।

ভালসার একটি প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় কাজ করেন বিজয় রাম। এক হাসপাতালে সহায়িকার কাজ করতেন সন্তোষী। শনিবার তখন রাত ৯টা। হঠাৎই থানায় গিয়ে হাজির হন বিজয় রাম। পুলিশকে জানান, লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। তাঁকে মেরে দিয়েছেন। শুনে তো হতবাক হয়ে যান থানার আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি বিজয়কে নিয়ে বিজয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেন। বাড়ির বাথরুম থেকে সন্তোষী দেবী নামে ওই তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘ঘরের চারদিকে রক্তে লেগে ছিল। বিজয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে সবটাই বলেন। শুক্রবার রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর বাথরুমে টেনে নিয়ে যান দেহটি। পরিকল্পনা ছিল দেহ লোপাটের। কিন্তু শেষ অবধি সাহস জুটিয়ে উঠতে পারেননি। এরপরই আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন।’

পুলিশ জানিয়েছে, বিজয় ও সন্তোষী গত তিন-চার বছর ধরে একসঙ্গে থাকছিলেন। বিজয় পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর চার সন্তান। অন্যদিকে সন্তোষীরও চার সন্তান। তিনটি মেয়ে, একটি ছেলে। তারা মায়ের সঙ্গেই থাকত। সঙ্গে বিজয় ও সন্তোষীর ছোট্ট মেয়ে। ডিসিপি (আউটারনর্থ) ব্রিজেন্দ্রকুমার যাদব জানান, “তদন্তে জানতে পেরেছে প্রায়ই এই যুগলের মধ্যে সন্তানদের নিয়ে ঝামেলা হত। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবী কাজ থেকে ফিরে আসেন। ফের সন্তানদের নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। ঘটনার সময় এক তলার ঘরে সন্তানরা ঘুমোচ্ছিল। ঘটনার পর একটি কাপড়ে মুড়ে ফেলেন ওই তরুণীকে। পালানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে শেষমেশ আত্মসমর্পণ করেন।” ইতিমধ্যেই বিজয় রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।