Partition Horrors Remembrance Day: পাক স্বাধীনতা দিবসে মোদী-শাহর ‘দেশভাগের ভয়াবহতা’ স্মরণ, কে কী বললেন?

Partition Horrors Remembrance Day: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১ সালে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ১৪ অগস্ট তারিখটিকে 'পার্টিশন হররস রিমেমব্রেন্স ডে' অর্থাৎ 'দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এদিন কে কী বললেন?

Partition Horrors Remembrance Day: পাক স্বাধীনতা দিবসে মোদী-শাহর 'দেশভাগের ভয়াবহতা' স্মরণ, কে কী বললেন?
দেশভাগের ভয়াবহতাকে স্মরণ করলেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2022 | 3:02 PM

নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১ সালে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে লালকেল্লা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ১৪ অগস্ট তারিখটিকে ‘পার্টিশন হররস রিমেমব্রেন্স ডে’ অর্থাৎ ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। রবিবার, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে এবং অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ‘দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষ্যে দেশভাগের সময় মৃতদের সকলকে শ্রদ্ধা জানালেন। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আজ, দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবসে, দেশভাগের সময় প্রাণ হারানো সকল ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাই এবং আমাদের ইতিহাসের সেই করুণ সময়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের সহনশীলতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তাকে সাধুবাদ জানাই।”  প্রসঙ্গত, ১৪ অগস্ট দিনটিকে পাকিস্তান রাষ্ট্র তাদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে।

১৯৪৭ সালে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের করায়ত্ব মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটেছিল দেশভাগ। প্রতিষ্ঠা হয়েছিল নয়া পাকিস্তান রাষ্ট্রের। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এদিন তাঁদের দুর্দশার কথা স্মরণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইট করে শাহ বলেছেন, “১৯৪৭ সালের দেশভাগ ভারতীয় ইতিহাসের এমন এক অমানবিক অধ্যায় যা কখনই ভোলা সম্ভব নয়। দেশভাগের হিংসা ও বিদ্বেষ লক্ষ লক্ষ প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল এবং অগণিত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। আজ, ‘দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে’ আমি দেশভাগের ভুক্তভোগী সেইসব লক্ষাধিক মানুষকে প্রণাম জানাই।”

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও দেশভাগের সময় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। টুইটারে রাজনাথ বলেছেন, “দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে’, আমি সেই সমস্ত মানুষদের শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা দেশভাগের সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন। দেশভাগের বেদনা ভুলতে না পেরেও যাঁরা একেবারে নতুন করে জীবন শুরু করেছিলেন তাঁদের সেলাম জানাই। এই দেশ দেশভাগের ভয়াবহতা কখনও ভুলবে না।”

দেশভাগের সময় যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “বিধ্বংসী ধর্মীয় মানসিকতার কারণে ভারত ভাগের সময়, লক্ষ লক্ষ নিরীহ নাগরিক তাঁদের প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং কোটি কোটি নাগরিক অমানবিক কষ্ট ভোগ করেছিলেন।” দেশভাগকে ‘ভারতীয় ইতিহাসের অন্ধকারতম ঘটনাগুলির মধ্যে একটি’ হিসেবে বর্ণনা করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “ভারতীয় ইতিহাসের অন্ধকারতম মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি, দেশভাগ লক্ষ লক্ষ দেশবাসীর ক্ষতি করেছিল এবং অখন্ড ভারতকে কঠোর আঘাত করেছিল। দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবসে, আমি ব্রিটিশ রাজ এবং নবগঠিত পাকিস্তানের দুষ্ট কৌশলের ফলে জনগণের দুর্ভোগের কথা স্মরণ করছি।”

১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরের কয়েক মাস ধরে চলেছিল দেশভগের হিংসা। রক্তপাত এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা, সম্পত্তির ক্ষতি এবং রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার সাক্ষী হয়েছিল ভারত। দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রের প্রকাশ করা সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, “বিশ্বাস এবং ধর্মের উপর ভিত্তি করে একটি হিংসাত্মক বিভাজনের কাহিনি নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা এবং সহ-অবস্থানের আচমকা এবং নাটকীয় অবসানের কাহিনি।” সরকারী নথি অনুসারে, দেশভাগের হিংসার বলি হয়েছিলেন ৫ থেকে ১০ লক্ষ মানুষ।