Caste-Based Survey: হাইকোর্টে নীতীশ সরকারের জয়, বিহারে জাতি-ভিত্তিক জনগণনায় রইল না আর কোনও বাধা
Bihar's Caste-Based Census: বিহার সরকারের এই আদমশুমারিকে চ্যআলেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলাগুলি করা হয়েছিল। সেই মামলাগুলির ভিত্তিতে, ৪ মে, শুনানি চলাকালীন বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক আদমশুমারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট।
পটনা: বিহারে জাতি-ভিত্তিক আদমশুমারির পথে আর কোনও বাধা রইল না। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক আদমশুমারি এবং আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ৫টি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার (১ অগস্ট), সবকটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি পার্থ সরথীর বেঞ্চ। ফলে, কার্যত এই জনগণনা প্রক্রিয়াকে সবুজ সঙ্কেত দিল পটনা হাইকোর্ট। গত ৭ জুলাই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল, তবে ওই দিন রায় দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। দুটি পর্বে এই আদমশুমারি করার কথা। ৭ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়েছিল। দ্বিতীর পর্বের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ৫ এপ্রিল। মে মাসের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, এরপরই বিহার সরকারের এই আদমশুমারিকে চ্যআলেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলাগুলি করা হয়েছিল। সেই মামলাগুলির ভিত্তিতে, ৪ মে, শুনানি চলাকালীন বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক আদমশুমারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট।
সেই সময় আদালত বলেছিল, প্রাথমিকভাবে তাঁদের মতে, রাজ্যের কোনও জাতি-ভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার এক্তিয়ার নেই। সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতার উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তথ্যের সুরক্ষা নিয়েও যে সকল প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যকে বিশদভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে বলেও জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। একটি সামাজিক সংগঠন এবং কয়েকজন ব্যক্তি বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। প্রথমে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত অবশ্য এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছিল। আবেদনকারীদের আদালত হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়েছিল। হাইকোর্টকে তাদের আবেদনের দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ২ জুন বিহারের মন্ত্রিসভা জাতি-ভিত্তিক জনগণনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছিলেন, সমস্ত সম্প্রদায়ের আর্থিক অবস্থার সুস্পষ্ট ছবি পাওয়াই এই জনগণনার মূল উদ্দেশ্য। কোন সম্প্রদায়ের কতজন মানুষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছেন, তা জানা যাবে। এর ফলে তাদের কাছে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে। নীতীশ কুমার বলেছিলেন, “যাতে সমস্ত সম্প্রদায়ের পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থার একটি সঠিক চিত্র পাওয়া যায়, তার জন্যই আমরা এটা করতে চাই। এর ফলে, তাদের এবং তাদের এলাকার জন্য কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।”