Uttar Pradesh: পাকিস্তানের জয়ে যারা উচ্ছ্বাসে মেতেছিল, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা যোগী রাজ্যে

Yogi Adityanath: যারা যারা পাকিস্তানের জয়ের পর উচ্ছ্বাসে মেতেছিল, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের পাঁচ জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।

Uttar Pradesh: পাকিস্তানের জয়ে যারা উচ্ছ্বাসে মেতেছিল, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা যোগী রাজ্যে
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2021 | 11:04 AM

লখনউ : ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট প্রত্যেকবার আলাদা মাত্রা এনে দেয়। ক্রীড়াপ্রেমীরা তো বটেই, রাজনীতিকদের কাছেও জোর চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে বাইশ গজের এই লড়াই। আর রবিবার ভারতের হারের পর সেই চর্চা আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে কোথায় কোথায় পাকিস্তানের জয়ে বাঁধন ভাঙা উচ্ছ্বাসের বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। আর এই নিয়েই এবার কড়া পদক্ষেপ উত্তর প্রদেশ সরকারের। রবিবারের ম্যাচে যারা যারা পাকিস্তানের জয়ে উদযাপন করেছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশকে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে এক টুইটে কিছু খবরের কাগজের প্রতিবেদনের ছবি শেয়ার করে বলা হয়েছে, যারা যারা পাকিস্তানের জয়ের পর উচ্ছ্বাসে মেতেছিল, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের পাঁচ জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তার মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী স্নোগানে তোলা এবং পাকিস্তানের জয় উৎযাপন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

কিছুদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপির নেত্রী মেহবুবা মুফতি কাশ্মীরীদের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, “পাকিস্তানের জয়ে কাশ্মীরীরা যদি উচ্ছ্বসিত হয়ে থাকে, তাতে এত রাগ কেন? কেউ কেউ তো খুনের স্লোগানও তোলে। যেমন, দেশ কি গদ্দারো কো গোলি মারো…”

আর মেহবুবা মুফতির এই টুইটের পরেই তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন হরিয়ানার বিজেপি নেতা অনিল ভিজ। তাঁর বক্তব্য, মেহবুবা মুফতির ডিএনএতে সমস্যা রয়েছে। তাঁকে প্রমাণ করতে হবে তিনি কতটা ভারতীয়।”

তার কিছুক্ষণ আগেই অনিল ভিজ় টুইট করেছিলেন, “পাকিস্তান জিতলে যখন ভারতে কেউ আতসবাজি ফাটায়, তাদের ডিএনএ কখনও ভারতীয়র ডিএনএ হতে পারে না। আপনার এলাকায় লুকিয়ে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের চিনে রাখুন।”

এদিকে, ভারত পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকেই মহম্মদ শামির উপর আক্রমণ শানাচ্ছে এন শ্রেণির মানুষ। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় কুকথার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। পঞ্জাবের সঙ্গরুরে এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও তাণ্ডব চলেছে বলে খবর। অভিযোগ, সেখানে কিছু কাশ্মীরী পড়ুয়ার উপর উত্তর প্রদেশের এক দল ব্যক্তি চড়াও হয়েছিল। ওই কাশ্মীরী পড়ুয়ারা নাকি পাকিস্তানকে সমর্থন করছিল খেলার সময়। আর সেই কারণেই তাদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে খবর।

সম্প্রতি কাশ্মীরের এক যুবতি তাঁর কলেজে ম্যাচের পর পাকিস্তানপন্থী স্লোগানের প্রতিবাদ করেছিলেন। পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই যুবতিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জয়ে যারা উচ্ছ্বাসে মেতেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটছে যোগী সরকার।

আরও পড়ুন : Trekkers Death In Uttarakhand: মুক্তির স্বাদ পেতে গিয়েছিলেন, দেবভূমিতে মুক্ত হল ‘জীবনপাখি’, ফিরল বাঙালি ট্রেকারদের দেহ