Bilkis Bano: আশাভঙ্গ বিলকিস বানোর, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
Bilkis Bano: গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দেওয়ার পর অগস্ট মাসে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল বিলকিস বানোর (Bilkis Bano) আর্জি। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি মকুব করার দায়িত্ব গুজরাট সরকারকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। শনিবার সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দেওয়ার পর অগস্ট মাসে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিলকিস বানো ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে।
যেহেতু ঘটনাটা গুজরাটে ঘটেছিল, তাই ওই রাজ্যের সরকারকে শাস্তি মকুব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই একটি কমিটি গঠন করে শাস্তি মকুব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই কমিটিই ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করে।
গত ১৫ অগস্ট গোধরা সাব জেল থেকে মুক্তি দেওয়া ওই ১১ জন অভিযুক্তকে। সেই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে। এরপর বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টের মে মাসের অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করেন।
২০০২ সালে বিলকিস বানোকে ধর্ষণের মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। পরে গুজরাটের মওকুফ নীতি অনুসারে তাঁদের সাজা মকুব করা হয়। চলচি বছরের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এই ইস্যুতে গুজরাট ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও কাঠগড়ায় তোলে বিরোধীরা। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগেই অনেকগুলি আবেদন জমা পড়েছিল। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেতা সুভাষিণী আলি সহ একাধিক ব্যক্তি সংগঠন দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।