PM Modi: লাচিত বোরফুকনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর সমাপ্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Lachit Borphukan's 400th birth anniversary: প্রবল পরাক্রমী মুঘল সেনাবাহিনীও পরাজিত হয়েছিল এই বীর অসমিয়া সেনাপতি ও তাঁর বাহিনীর হাতে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে লাচিত বোরফুকনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর বছরব্যাপী উদযাপনের সমাপ্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি।

PM Modi: লাচিত বোরফুকনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর সমাপ্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
অহম সাম্রাজ্যের বীর সেনাপতি লাচিত বোরফুকনকে সম্মান জানাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 10:47 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের ইতিহাসের এমন অনেক বীর নায়ক আছেন, যাঁরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাননি। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকেই এঁদের সম্মান জানানোর জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতাতেই এবার অহম সাম্রাজ্যের বীর সেনাপতি লাচিত বোরফুকনকে সম্মান জানাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে লাচিত বোরফুকনের ৪০০তম জন্মবার্ষিকীর বছরব্যাপী উদযাপনের সমাপ্তী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি।

১৬২২ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লাচিত বোরফুকন। অহম রাজ প্রতাপ সিংহের অধীনস্ত অহম বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন তিনি। প্রবল পরাক্রমী মুঘল সেনাবাহিনীও লাচিত এবং তাঁর বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছিল। ১৬৭১ সালের সরাইঘাটের যুদ্ধে নেতৃত্বের দিয়েছিলেন তিনি। অহম রাজ্য দখলের জন্য মুঘল সেনাপতি প্রথম রাম সিং হামলা চালিয়েছিলেন। যুদ্ধের প্রথম পর্বে অহম সেনার বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে লাচিত বোরপুকনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও করেছিলেন রাম সিং। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছিলেন লাচিত বোরফুকনই। লাচিত বোরফুকনের বীরত্ব এবং সরাইঘাটের যুদ্ধে অহম বাহিনীর বিজয়কে স্মরণ করার জন্য ২৪ নভেম্বর অসমে লাচিত দিবস পালিত হয়।

ভারতের ইতিহাসের এরকম বহু স্বল্পখ্য়াত বীরদেরই সম্মান জানানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাম্প্রতিক অতীতে এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী ‘মানগড় ধাম কি গৌরব গাথা’ অনুষ্টানে যোগ দিয়ে, ভিল স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী গোবিন্দ গুরুকে শ্রদ্ধা জানান। বেঙ্গালুরুতে শ্রী নাদাপ্রভু কেম্পেগৌড়ার ১০৮ ফুট লম্বা ব্রোঞ্জ মূর্তির উন্মোচনও করেছেন। গত জুলাই মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের ভীমাভরমে স্বাধীনতা সংগ্রামী আলুরি সীতারামা রাজুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী উদযাপনের সূচনা করেছিলেন। জুন মাসে মুম্বইয়ের রাজভবনে ব্রিটিশ আমলের , একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারের ভিতর, ভারতীয় বিপ্লবীদের বিষয়ে ‘ক্রান্তি গাথা’ নামে একটি নতুন গ্যালারির উদ্বোধন করেছিলেন।

২০২১-এর নভেম্বরে রাঁচিতে ভগবান বিরসা মুন্ডা উদ্যান এবং স্বতন্ত্রতা সেনানী সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর তত্ত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিতে দশটি আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী জাদুঘরও তৈরি করা হচ্ছে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, উত্তর প্রদেশের বাহরাইচে মহারাজা সুহেলদেব স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, পানিপথের বিভিন্ন যুদ্ধের বীরদের সম্মান জানাতে ‘ব্যাটলস অব পানিপথ মিউজিয়াম’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিভিন্ন সময়ে তাঁর বক্তৃতায়, টুইটে, আলোচনায় এই অজ্ঞাত নায়কদের স্মরণ করেন, তাঁদের কথা উল্লেখ করেন, তাঁদের অবদান স্মরণ করেছেন।