AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২৫-এর মাইলফলকে ‘বন্দে ভারত’, ১২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে আজ যোগী-রাজ্যে মোদী

Vande Bharat Express: এদিন দেশের মোট বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫-এ। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

২৫-এর মাইলফলকে 'বন্দে ভারত', ১২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে আজ যোগী-রাজ্যে মোদী
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফাইল ছবি।Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2023 | 1:30 PM
Share

লখনউ: শুক্রবার (৭ জুলাই), উত্তর প্রদেশের গোরখপুর থেকে, গোরখপুর-লখনউ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং যোধপুর-সবরমতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। এর ফলে দেশের মোট বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৫-এ। এদিন চার রাজ্য সফরে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমেই যাচ্ছেন ছত্তীসগঢ়ে, তারপর উত্তর প্রদেশ। দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে সবুজ পতাকা দেখানো ছাড়াও, যোগী-রাজ্যে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চালু করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। গোরখপুর-লখনউ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস গোরখপুরের সঙ্গে অযোধ্যা এবং লখনউকে জুড়বে। পথে পড়বে, কুশিনগর, সিদ্ধার্থনগর, সন্ত কবির নগরের মতো পর্যটন স্থানগুলি। বন্দে ভারতের এই ছোট সংস্করণে মোট আটটি কোচ থাকবে। এর মধ্যে সাতটি হবে বাতানুকূল এবং একটি থাকবে এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার।

অন্যদিকে, যোধপুর-সবরমতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যোধপুর এবং আহমেদাবাদের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করবে। পথে যুক্ত হবে পালি, আবু রোড, পালানপুর এবং মেহসানা। এই ট্রেন রাজস্থান এবং গুজরাটের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। পশ্চিম রেলওয়ে জানিয়েছে, আধা-উচ্চ-গতির ট্রেনটি আহমেদাবাদ থেকে বিকেল পৌনে পাঁচটায় ছাড়বে, রাত ১০টা বেজে ৫৫ মিনিটেই যোধপুর পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে, যোধপুর থেকে সকাল ৫টা বেজে ৫৫ মিনিটে ছেড়ে ১২টা বেজে ৫ মিনিটে আহমেদাবাদে পৌঁছবে।

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া দিল্লি থেকে বারাণসীর মধ্যে যাতায়াত শুরু করেছিল প্রথম আধা উচ্চ গতির ট্রেনটি। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে এই ট্রেনগুলি তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। ১৮ মাসের মধ্যেই প্রথম ট্রেনটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ট্রেনটির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার হলেও, অধিকাংশ রুটেই ট্রেনটি এই গতি তুলতে পারেনি। একমাত্র কোটা-সোয়াই মাধোপুর শাখায় সর্বোচ্চ গতি তুলতে পেরেছিল ট্রেনটি।

উত্তর প্রদেশ সফরে প্রথমেই গোরখপুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গীতা প্রেসের শতবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সম্প্রতি, গীতা প্রেসকে ২০২১ সালের ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ দিয়েছে মোদী সরকার। এরপর, ওয়াজিদপুরে বিজেপি কর্মীদের এক সভায় ভাষণ দেবেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ‘টিফিন পার চর্চা’ নামে এক কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন। তারপর, গোরখপুর রেলস্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন। গোরখপুর রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন নিজ সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতে। সেখানেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার কথা তাঁর।