Primary Recruitment Scam: ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের ‘সুপ্রিম’ স্বস্তি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ
Primary Recruitment Scam: ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
নয়া দিল্লি: প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের পুনরায় ইন্টারভিউ দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আপাতত কোনও ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁদের চাকরি নিয়েও কোনও অনিশ্চয়তা রইল না। এই ৩২ হাজার শিক্ষকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কোনও অ্য়াপ্টিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের নির্দেশ, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলায় সব পক্ষের বক্তব্য় শুনে রায় না দিচ্ছে, ততক্ষণ স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, ওই সময় প্রশিক্ষণ নেননি, এমন অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন। সেই মামলাতেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের ডেকে গোপন জবানবন্দি নেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই উঠে আসে, কোনও অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট নেওয়া হয়নি। এরপরই ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। তাঁর নির্দেশ ছিল, ৪ মাস পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন ওই শিক্ষকেরা, তবে তাঁদের পার্শ্বশিক্ষকদের কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।
পরে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে পুনরায় ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ বহাল ছিল ডিভিশন বেঞ্চেও। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।