বারাণসীর করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক সাংসদ নরেন্দ্র মোদীর
উত্তর প্রদেশের অন্যান্য শহরগুলির মতো বারাণসীতেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা।
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) করোনা ঠেকাতে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করছেন। এই নিয়ে টানা ৩ দিনে তৃতীয় বৈঠকে বসতে চলেছেন নমো। তবে এ বার প্রধানমন্ত্রী তো বটেই নিজের লোকসভা এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক সাংসদ নরেন্দ্র মোদীরও। প্রধানমন্ত্রীর কার্য়ালয় থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে থাকবেন বারাণসীর চিকিৎসকরা ও সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
উত্তর প্রদেশের অন্যান্য শহরগুলির মতো বারাণসীতেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। শনিবার উত্তর প্রদেশে যে ১৭ হাজার ৩৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ১ হাজার ৬৬৪ জন বারাণসীর। করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে বারাণসী জেলা প্রশাসন সেখানকার তিনটি মন্দিরে প্রবেশের জন্য আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছে। ডিভিসনাল কমিশনার দীপক আগরওয়াল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, বিশ্বনাথ মন্দির, সঙ্কটমোচন মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দিরে ঢুকতে গেলে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক।
At 11 AM, Prime Minister @narendramodi will be chairing a meeting to review the COVID-19 situation in Varanasi.
The meeting will be attended by top officials, local administration and doctors who are involved in fighting COVID in Varanasi.
— PMO India (@PMOIndia) April 18, 2021
গতকালই করোনা নিয়ন্ত্রণে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি গত বছরের মতো এ বারও তিনটি ‘টি’-র ওপর জোর দিতে বলেন। যেগুলি হল টেস্ট, ট্র্যাক ও ট্রিটমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে এই বৈঠকে ওষুধ, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর এবং টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা এবং সঠিক ট্র্যাকিংই করোনায় মৃত্যুহার কমানোর মূল চাবিকাঠি। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের মানিষের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া দরকার। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বেড বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন নমো। অক্সিজেনের ঘাটতি না হওয়ার দিকেও বিশেষ জোর দিতে বলেন বৈঠকে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ জন। এটিই সর্বকালের সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯-এ। এরমধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ১ হাজার ৩১৬। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০-এ।
আরও পড়ুন: কুম্ভ থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন, না হলে আইনি পদক্ষেপ