জুড়বে ভারত-বাংলাদেশ, মঙ্গলবার ত্রিপুরায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী
২০১৫ তে শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ (Maitri Setu) নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
নয়া দিল্লি: ত্রিপুরার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফেনী নদী। আর তার ওপর তৈরি সেতু দিয়েই জুড়বে ভারত-বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি সেই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi) । একই সঙ্গে ত্রিপুরার আরও একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। এই সেতু দুই দেশের বন্ধনের প্রতীক হিসেবে তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ,৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টায় এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
ফেনী নদী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সেতুটি বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা খরচে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি এই সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এই সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ১২। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়বে ৮ টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের সঙ্গে এবং ভারতের দিকে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের দুই লেনের এই সেতুর দুপাশে রয়েছে ফুটওয়ে।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সাথে বৈঠকে রামগড়- সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ২০১৫ তে শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।