G-20 Summit: আগামী বছর কোন দেশে বসবে জি-২০ সামিট, কার হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন নমো?

PM Narendra Modi: সামিটের দ্বিতীয় দিন শান্তি প্রতিষ্ঠার উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ যৌথভাবে জানান, জি-২০ সামিটে ইউক্রেনের অবিলম্বে ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে।

G-20 Summit: আগামী বছর কোন দেশে বসবে জি-২০ সামিট, কার হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন নমো?
আগামী জি-২০ সামিটের ভার ব্রাজিলের হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2023 | 5:23 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সামিট (G-20 Summit) শেষ হল রবিবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবারের জি-২০ সামিট ঘিরে যেমন কার্যত রাজসূয় যজ্ঞ চলেছে নয়াদিল্লিতে, তেমনই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আর সামিটের শেষ লগ্নে আগামী বছর কোন দেশ জি-২০ সামিটের সভাপতিত্ব করবে, সেটাও ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তিনি ২০২৪-এর জি-২০ সামিটের ব্যাটন ব্রাজিলের (Brazil) প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিলেন।

এদিন সামিটের শেষ লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী বছরের জন্য জি-২০-র ব্যাটন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার হাতে তুলে দেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমাদের অটুট বিশ্বাস রয়েছে যে তারা (ব্রাজিল) নিষ্ঠা ও বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আগামী সামিটে নেতৃত্ব দেবে এবং বিশ্বব্যাপী ঐক্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি করবে।” আগামী সামিটের জন্য ব্রাজিলকে ভারত সবরকম সহায়তা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

আগামী বছরের সামিটের ব্যাটন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে শুভেচ্ছা জানান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। এদিন ব্রাজিলের হাতে পরবর্তী সামিটের সভাপতিত্বের দায়িত্বভার তুলে দিলেও এবারের সামিটের পর্যালোচনার জন্য নভেম্বরে দিল্লিতে একটি ভার্চুয়াল সামিট করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এবারের সামিটে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সামিটের সমাপ্তি ভাষণে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল, আমরা ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার’ অধিবেশনে বিস্তৃত আলোচনা করেছি। আমি সন্তুষ্ট যে, আজ জি-২০ ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ সম্পর্কে আশাবাদী প্রচেষ্টার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।”

নয়া দিল্লিতে আয়োজিত এবারের জি-২০ সামিটে যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল, আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া। এছাড়া ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর ঘোষণা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জি-২০ দেশগুলির অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এদিন, সামিটের দ্বিতীয় দিন শান্তি প্রতিষ্ঠার উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ যৌথভাবে জানান, জি-২০ সামিটে ইউক্রেনের অবিলম্বে ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা না হলেও কোনও দেশের অঞ্চল জোর করে দখল না করার বার্তা দেওয়া হয়েছে সামিটের শেষে।