Cyrus Mistry: ৯ মিনিটেই গাড়ি পার করেছিল ২০ কিমি রাস্তা, চালকের ভুলেই প্রাণ হারালেন সাইরাস?
Cyrus Mistry Death Investigation: প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, চালকের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সাইরাস মিস্ত্রি ও জাহাঙ্গির পান্ডলে সিটবেল্ট না পরে থাকায়, দুর্ঘটনায় সবথেকে বেশি আহত হন তাঁরাই।
মুম্বই: দ্রুতগতি নাকি চালকের ভুল? কী কারণে অকালে মৃত্যু হল টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির, এই প্রশ্নটাই উঠে আসছে বারবার। রবিবার দুপুরেই মহারাষ্ট্রের পালঘরে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন সাইরাস মিস্ত্রি। ওই গাড়িতে সাইরাস ছাড়াও ছিলেন শিল্পপতি দারিয়াস পান্ডলে, তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডলে ও দারিয়াসের আত্মীয় জাহাঙ্গির পান্ডলে। অনাহিতা পান্ডলে ও দায়িরাস পান্ডলে বসেছিলেন সামনের সিটে। পিছনের সিটে ছিলেন জাহাঙ্গির ও সাইরাস মিস্ত্রি। সামনের সিটের দুই যাত্রী সিট বেল্ট পরে থাকায়, তারা সামান্য আহত হলেও, সিটবেল্ট পরেননি সাইরাস মিস্ত্রি ও জাহাঙ্গির পান্ডলে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, পিছনের সিটের দুই যাত্রীরই মুখে ঘাড়ে, এমনকী শিরদাঁড়াতেও গুরুতর চোট লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সময় মেলেনি, দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুইজনের।
ইতিমধ্যেই তদন্তে পুলিশের হাতে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, পালঘরের চারোটি চেক পোস্ট পার করার পর ২০ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র ৯ মিনিটেই অতিক্রম করেছিল মার্সিডিজ গাড়িটি। সিসিটিভি ফুটেজে দুপুর ২টো ২১ মিনিট নাগাদ চেকপোস্টটি পার করতে দেখা যায় গাড়িটি। এর ৯ মিনিট বাদেই, ২০ কিলোমিটার দূরে সূর্য নদীর উপরের সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, চালকের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সাইরাস মিস্ত্রি ও জাহাঙ্গির পান্ডলে সিটবেল্ট না পরে থাকায়, দুর্ঘটনায় সবথেকে বেশি আহত হন তাঁরাই।
কী কী তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের সামনে?
১. যেই চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন যে সাইরাস মিস্ত্রিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। অন্যদিকে জাহাঙ্গির পান্ডলেকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয়।
২. সাইরাস মিস্ত্রির মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। জাহাঙ্গির পান্ডলের বাম পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। তাঁর মাথাতেও গুরুতর চোট ছিল।
৩. সাইরাস ও জাহাঙ্গির- দুজনের কেউই সিটবেল্ট পরেননি। সেই কারণেই ডিভাইডারে ধাক্কা লাগতেই সামনের সিটে জোরে ধাক্কা খান দু’জন।
৪. মুম্বইয়ের বিখ্যাত গাইনোকলজিস্ট অনহিতা পান্ডলে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সূর্য নদীর উপরের সেতুতে তিনি দ্রুতগতিতে চালানোর সময়েই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে।
৫. অনহিতা ও তাঁর স্বামী দারিয়াসও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৬. এদিন সকালেই অনহিতা ও দারিয়াসকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা ছিল। গতকাল গুজরাটের ভাপির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে।
৭. গাড়িটির সামনের দিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, পিছনের দিকে কোনও ক্ষতি হয়নি। অথচ দুর্ঘটনার পরও পিছনের যাত্রী সিটের এয়ারব্যাগগুলি খোলেনি।