Prashant Kishore in Congress: কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ডিল’ চূড়ান্ত, এই পদ পেলেই ‘হাত’ ধরতে আগ্রহী পিকে, খবর সূত্রের
Congress: প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি বা আইপ্যাক এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডিকে বাংলা ও অন্ধ্র প্রদেশের ভোটে বিপুল জয়লাভ পেতে সাহায্য করেছিল।
নয়া দিল্লি: বেশ কিছুদিন ধরেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) কংগ্রেসে (Congress) যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বৈঠকের পর তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক জল্পনা। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পিকে-র কংগ্রেসে যোগদান প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে হাত চিহ্ন আঁকা তেরঙ্গা পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন প্রশান্ত। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রশান্ত শুধু কংগ্রেসে যোগদান করেই থেমে থাকবেন না, দলের রণকৌশল তৈরি করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যাবে প্রশান্তকে। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে, সনিয়া ও রাহুল পিকে-কে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলেই খবর। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, পিকের যোদদান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সনিয়ার দাবি ছিল, প্রশান্ত যদি একান্তই কংগ্রেসে যোগদান করতে চান তবে তাঁকে সম্পূর্ণভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অন্যদিকে পিকের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, শতাব্দী প্রাচীন দলে কার্যকরী সভাপতি হতে আগ্রহী তিনি।
প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি বা আইপ্যাক এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডিকে বাংলা ও অন্ধ্র প্রদেশের ভোটে বিপুল জয়লাভ পেতে সাহায্য করেছিল। অন্ধ্র প্রদেশের থেকেও বাংলার নির্বাচনে পিকের ভূমিকা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সহ তাবড় বিজেপি নেতারা বাংলা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রশান্তের রণকৌশল ও মমতার মুখকে হাতিয়ার করেই বিজেপি ব্যাপকভাবে পরাস্ত করেছিল তৃণমূল। প্রশান্তের অন্যান্য দলের হয়ে কাজ করার ব্যপারে গররাজি কংগ্রেস, সেই বার্তা পিকের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করছেন।
২০১৮ সালে নীতীশ কুমারে হাত ধরে জেডিইউতে যোগদান করলেও খুব বেশি দিন তিনি সেখানে থাকতে পারেননি। কিছুদিন পরে নীতীশের হাত ছেড়ে পুরোদস্তুর ভোট কুশলীর পেশাতে তিনি ফিরে আসেন। বাংলার ভোটের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে ব্যপক সাফল্য পাওয়ার পর জল্পনা দেখা দিয়েছিল যে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন তিনি। কিন্তু সেই জল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। একাধিক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পিকে। সেই জল্পনা বাস্তবায়িত করেই দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলে তাঁর যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা। কবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন, সেটাই এখন দেখার।