President Draupadi Murmu : ভিন্ন চেহারায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, এই স্যুট-টুপি পরিহাতকে চেনা দায়
President Draupadi Murmu : পরনে অ্যান্টি-গ্র্যাভেটি স্যুট, অসম সফরের শেষ দিনে যুদ্ধ বিমানে চড়ে বসলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
অসম : অসম সফরের গিয়ে একেবারে যুদ্ধ বিমানে চড়ে বসলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। তেজপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে এদিন সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমানে (Sukhoi 30 MKI fighter jet) চড়েন তিনি। পরনে ছিল অ্যান্টি-গ্র্যাভেটি স্যুট। ব্রহ্মপুত্র ও তেজপুর ভ্যালির উপর দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট আকাশে পথে সফর করেন তিনি। তারপর ফের ফিরে আসেন বায়ুসেনার ঘাঁটিতেই। দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসাবে এ ধরনের সফর করলেন তিনি। এর আগে মসনদে থাকাকালীন ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিলও চড়েছিলেন এ ধরনের যুদ্ধবিমানে।
প্রসঙ্গত, ৩ দিনের অসম সফরে বৃহস্পতিবার বিকেলে গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিমানবন্দরেই তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়াও। প্রসঙ্গত, একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে অসম সফরে গিয়েছেন দ্রৌপদী। ৬ তারিখ সেখানে পৌঁছে কাঞ্জিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে গজ উৎসবের উদ্বোধন করেন। কাঞ্জিরাঙ্গাতে কাটান বড় সময়। জঙ্গল সাফারি করেন। হাতিদের সঙ্গেও কাটান বেশ কিছুটা সময়।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতা বলে ভারতের রাষ্ট্রপতি আবার ভারতীয় সেনার সুপ্রিম কমান্ডারও বটে। এর আগে মার্চ মাসে নৌসেনার অধীনে থাকা আইএনএস বিক্রান্ত পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। বিমানে থাকা নৌসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথাও বলেন। এবার, তাঁর যুদ্ধবিমানে উড়ান নিয়ে জোর চর্চা নানা মহলে। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার ১০৬ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন নবীন কুমারকে এদিন বিমানটি চালাতে দেখা যায়। বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উপরে উড়তে থাকে ৩০ মিনিট ধরে। গতি ছিল প্রায় ৮০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। প্রসঙ্গত, সুখোই-৩০ এমকেআই তৈরি হয়েছে রাশিয়ার হাতে। শত্রু দমনে, সীমান্ত নজরদারিতে বরাবরই বড় ভূমিকা রেখে আসছে এই যুদ্ধ বিমান।