Bankura: শিক্ষক দিবসে সম্মানিত বাঁকুড়ার বুদ্ধদেব, ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার

Bankura: সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ), স্কুল শিক্ষায় তাঁদের অনন্য অবদানের জন্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোট পঁয়তাল্লিশ জন শিক্ষককে, জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কারে সম্মানিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সম্মানিত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন বাংলার বাঁকুড়া জেলার বুদ্ধদেব দত্ত।

Bankura: শিক্ষক দিবসে সম্মানিত বাঁকুড়ার বুদ্ধদেব, ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার
ছাত্র বুদ্ধদেব দত্তকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2022 | 11:24 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ), স্কুল শিক্ষায় তাঁদের অনন্য অবদানের জন্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোট পঁয়তাল্লিশ জন শিক্ষককে, জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কারে সম্মানিত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শিক্ষক দিবসে, দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শিক্ষকদের সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি। সম্মানিত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন বাংলার বাঁকুড়া জেলার বুদ্ধদেব দত্ত। তিনি বর্তমানে জয়পুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের প্রাক্তন ছাত্রও বটে। সম্মানিত এই সকল শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

প্রাক্তন ছাত্রের এই সাফল্যে ঊচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও। এদিন নয়া দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের ৪৫ জন শিক্ষককে এদিন সম্মানিত করেছেন রাষ্ট্রপতি সম্মানিয়া দ্রৌপদী মুর্মু মহাশয়। আমার বলতে খুব গর্ব হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যিনি সম্মানিত হয়েছেন, তিনি আমারই জেলার। তাঁর নাম হচ্ছে, আমার এই ছোট্ট ভাই বুদ্ধদেব দত্ত। তিনি জয়পুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। শুধু শিক্ষকই নন, তিনি ওই প্রাইমারি স্কুলেই আমার ছাত্র ছিলেন। আবার সেখানে শিক্ষকও হয়েছেন। এবং এত সুন্দরভাবে এক উদ্ভাবনী কাজ করেছেন, সেগুলি ইউটিউবেও দিয়েছেন। যেমন উনি উত্তর বলে দিয়েছেন। ছাত্রদের প্রশ্ন করেছেন, সেই উত্তর কোন প্রশ্নের হবে।”

এদিন শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর জন্য বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক যে সমাবেশের আয়োজন করেছিল, সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমু বলেছেন, “একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, মধ্যমমানের শিক্ষকরা বলেন। ভালো শিক্ষকরা ব্যাখ্যা করেন। উচ্চতর শিক্ষক প্রদর্শন করেন। মহান শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত করেন। আমার মতে, একজন আদর্শ শিক্ষকের এই চারটি গুণই থাকে। এই ধরনের আদর্শ শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের জীবন গঠন করেন এবং প্রকৃত অর্থে জাতি গঠন করেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন মাতৃভাষায় শিক্ষার উপরও জোর দেন। তিনি বলেন, “মাতৃভাষায় পড়ানো হলে বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সামাজিক বিজ্ঞানে মেধা বিকাশ আরও কার্যকর হতে পারে।” তিনি তাঁর জীবনে তাঁর স্কুলশিক্ষকদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন। জানান, তাঁদের জন্যই গ্রামের প্রথম মেয়ে হিসেবে তিনি কলেজে পা রাখতে পেরেছিলেন।

ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে, ১৯৬২ সাল থেকে ৫ সেপ্টেম্বর দিনটি দেশব্যাপী শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছরই এই উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেশের সেরা শিক্ষকদের পুরস্কার প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এবারের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন – যুধবীর, বীরেন্দ্র কুমার ও অমিত কুমার (হিমাচল প্রদেশ), হরপ্রীত সিং, অরুণ কুমার গর্গ ও বন্দনা শাহি (পঞ্জাব), শশীকান্ত সম্ভাজিরাও কুলথে, সোমনাথ ওয়ামন ওয়াকে এবং কবিতা সাঙ্ঘভি (মহারাষ্ট্র), কান্দালা রামাইয়া, টি এন শ্রীধর এবং সুনিথা রাও (তেলঙ্গানা), প্রদীপ নেগি ও কৌস্তুভ চন্দ্র জোশী (উত্তরাখণ্ড), সুনিতা ও দুর্গা রাম মুয়াল (রাজস্থান), নীরজ সাক্সেনা ও ওম প্রকাশ পতিদার (মধ্যপ্রদেশ), সৌরভ সুমন ও নিশি কুমারী (বিহার), জি পোনসাঙ্কারি ও উমেশ টিপি (কর্নাটক), মালা জিগদাল দর্জি ও সিদ্ধার্থ ইয়োনজোন (সিকিম), অঞ্জু দাহিয়া (হরিয়ানা), রজনী শর্মা (দিল্লি), সীমা রানী (চণ্ডীগঢ়), মারিয়া মুরেনা মিরান্ডা (গোয়া), উমেশ ভারতভাই ভালা (গুজরাট), মমতা আহর (ছত্তীসগঢ়), ঈশ্বর চন্দ্র নায়ক (ওড়িশা), বুদ্ধদেব দত্ত (পশ্চিমবঙ্গ), মিমি ইয়োশি (নাগাল্যান্ড), নংমাইথেম গৌতম সিং (মণিপুর), রঞ্জন কুমার বিশ্বাস (আন্দামান ও নিকোবর)।